মইনুল ইসলাম, বুধহাটা: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে জনজীবনে ভোগান্তি চরমে পৌছেছে। বুধহাটা ইউনিয়নে মৎস্য ঘের, আমন ফসলের বীজতলা ও রোপনকৃত ধানের ক্ষেত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
ইউনিয়নের মহেশ্বরকাটি, উত্তর চাপড়া, নওয়াপাড়া, শ্বেতপুর, নৈকাটি, বেউলা পশ্চিমপাড়া বিলের অধিকাংশ মৎস্য ঘের, আমন ফসলের বীজতলা, রোপনকৃত ধানের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চাষীরা তাদের আমন ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এবং দ্রব্যমূল্যের বাজারে হাজার হাজার টাকা খরচ করে ধান চাষ নিয়ে সংশয়গ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক চাষী ইতিমধ্যে ধান রোপনের কাজও করেছেন। যা পানিতে তলিয়ে পচে নষ্ট হতে বসেছে। এছাড়া ইউনিয়নে হাজার হাজার একর মৎস্য ঘের প্রবল বৃষ্টিপাতে একাকার হয়ে যাওয়ায় মৎস্য চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া ইউনিয়নের নৈকাটি খেলার মাঠ, পাইথালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নৈকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীরা। অপরদিকে বুধহাটা অনতাকুড়–র বিল, দক্ষিণ পাড়া বিল ও কামারকুড়–র বিল অতি বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হওয়ার আসংখ্যা দেখা দিয়েছে। ইউনিয়নে অধিকাংশ স্লুইস গেটের খাল অবৈধ দখল করে পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এমনটাই অভিযোগ এলাবাসীর।
এই ইউনিয়নের প্রায় সব স্লুইস গেটের খালের মুখে ও খালের পাশে অবৈধ দখল ও মাটির বাঁধ বা নেটপাটা দিয়ে বিশেষ একটি মহল মাছ চাষ ও মাছ ধরার কাজ করে যাচ্ছে। ফলে খালগুলো সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। পলি জমে খালের নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অবৈধ দখলকারীরা খালের পাশের জমি বাঁধতে বাঁধতে জমিতে পরিণত করেছে কিংবা মাছ চাষের ঘেরে পরিণত করেছে। এদিকে বুধহাটা স্লুইস গেটের পাটটি নষ্ট থাকায় জোয়ারের পানি কমবেশী বিলের ভিতরে উঠছে। ফলে বৃষ্টির পানির পাশাপাশি নদীর পানিতে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আসংখ্যা দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে পাউবো কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার জনসাধারণ।