মাহফুজুর রহমান, শ্যামনগর : গত ৬ অক্টোবর রাতে একই পরিবারে ৪জন খাদ্য বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত। সরেজমিনে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলাধিন মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলী গ্রামের সুভাষ মন্ডল (৬৫) , পিতা মৃত শিবপদ মন্ডল, সীতা রানী মন্ডল (৫০) স্বামী- সুভাষ মন্ডল, শিক্ষিকা মিনতী রানী (৩০) স্বামী- জগদীশ মন্ডল; রাতের খাবার খেয়ে গভীর অচেতন হয়ে পড়ে। এসময় দারুণ অসুস্থ্য অবস্থায় বিধান মন্ডল (২৫) পিতা- সুভাষ মন্ডলের ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর হরিপদ মন্ডল, জামিনী মন্ডল, দিলিপ মন্ডল ছুটে আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা আরও প্রতিবেশীদের ডেকে সুভাষ মন্ডলের বাড়ীতে জড় করে। ডাকা হয় পল্লী চিকিৎষক শিবপদ মন্ডলকে। কিন্তু, উক্ত ৪ জন গভীর ভাবে অচেতন হওয়ায় দ্রুত তাদেরকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার সকালে বিধান মন্ডল ও মিনতী রানীর জ্ঞান ফিরে এলে তাদেরকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। কিন্তু, সুভাষ মন্ডল ও তার স্ত্রী সীতা রানীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাদেরকে গতকাল সকালেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সীতা রানীর অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও সুভাষ মন্ডলের অবস্থা সংকটাপন্ন। প্রতিবেশী হরিপদ মন্ডল এ প্রতিবেদককে জানান, বিগত ১৫ দিন পূর্বে উক্ত সুভাষ মন্ডলের বাড়ীতে একই ধরনের ফুড পয়জেনিংয়ের ঘটনা ঘটে। কিন্তু, সে সময় আক্রান্তের এত তীব্রতা লক্ষ্য করা যায় নি। স্থানীয় ভাবে চিকিৎসায় সকলেই সুস্থ্য হয়ে ওঠে। আবার এই ঘটনার পূনরাবৃত্তি এবং আক্রান্তের তীব্রতায় ব্যাপারটি রহস্যজনক বলে মনে হয়। ঘটনার দিন বিকালে বিধানের স্ত্রী তার পিত্রালয়ে চলে যাওয়ার কারনে সে এই ঘটনা থেকে রেহাই পায়। অপর দিকে সুভাষ মন্ডলের কন্যা শিক্ষিকা মিনতী রানী ঐ সময় তার পিত্রালয়ে অবস্থান করার কারনে এই পরিস্থিতির শিকার হন।
শ্যামনগরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় একই পরিবারের ২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন
পূর্ববর্তী পোস্ট