নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক শেখ মফিজুর রহমানের আদালত গর্ভজাত (নবজাতক) পুত্র সন্তান গর্ভধারিনী মায়ের জিম্মায় দিয়ে এক মানবিক আদেশ দিলেন।
সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের মানবিক আদেশে নবজাতক তার গর্ভধারিনী মাতাকে ফিরে পেলেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারী সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, গত বছরের তেইশ জানুয়ারী নুর নাহার পারভীন হীরা নামের এক মা তার সদ্য গর্ভজাত (নবজাতক) সন্তান কে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের বাথরুমে সংলগ্ন ডাষ্টবিনে ফেলে চলে যান।
বিষয়টি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ অবগত হয়ে তাৎক্ষনিক নবজাতককে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের আওতায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখার ব্যবস্থা করেন। অন্তত চার নিঃসন্তান দম্পতি নবজাতককে দত্তক নিতে আদালতে আবেদন করেন। ফেলে যাওয়া নবজাতকের মাতাও নিজ সন্তানকে ফিরে পেতে আদালতের শরনাপন্ন হন। তার আবেদনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। আদেশে আদালত বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাথরুমের পাশে ডাস্টবিন হতে উদ্ধারকৃত শিশু পুত্রটি সম্পর্কে উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ড, সাতক্ষীরা সদর হতে প্রদত্ত চারটি দত্তক নেওয়ার আবেদন পত্রসহ গর্ভধারীনি মোছাঃ নুর নাহার পারভীন হীরা এর শিশু পুত্রটির নিজ জিম্মায় নেওয়ার আবেদনটি পর্যালোচনা করে নবজাতক পিতৃ পরিচয়হীন শিশু পুত্র সন্তানের গর্ভজাত মাতা মোছাঃ নুর নাহার হীরার নিকট প্রদান করা সর্বোত্তম। একজন মাতা তার গর্ভজাত সন্তানের স্বাভাবিক ও আইনগত অভিভাবক বটে। সার্বিক অবস্থার আলোকে শিশু পুত্রটির সার্বিক মঙ্গলার্থে মোছাঃ নুর নাহার পারভীন হীরা পিং- আব্দুর রশিদ, মাতা কুলসুম বেগম, সাং- পূর্ব কুলিয়া দেবহাটা বরাবর দেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হইল। এ আদেশে মাতা তার সন্তানকে ফিরে পেয়েছে।
সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ’র আদেশে গর্ভধারিনীর কোলেই স্থান পেল নবজাতক
পূর্ববর্তী পোস্ট