শিক্ষা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যারলয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বরাবর লিখিত দিয়েছেন। চৌর্যবৃত্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
অভিযোগের সঙ্গে প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তির কয়েকটি কপিও সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘পার্টিসিপেশন অব উইমেন ইন অ্যাকুয়াকালচার ইন থ্রি কোস্টাল ডিসট্রিক অব বাংলাদেশ : অ্যাপ্রোচেস টুওয়ার্ডস সাসটেইনেবল লাইভলিহুড’ শিরোনামে ১৫ পৃষ্ঠার গবেষণা নিবন্ধটি চৌর্যবৃত্তি শনাক্ত করার সফটওয়্যার টার্নইটইনে যাচাই করে দেখা যায়, ৮৮ শতাংশ অন্য প্রকাশনার সঙ্গে মিল।
যা ২০১২ সালে ‘ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব এগ্রিকালচার সার্ভিসেসে’ প্রকাশিত হয়। এই প্রবন্ধে তার গবেষণায় সহযোগী হিসাবে ছিলেন ঢাবি আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সায়েন্সেস অনুষদের ডিন কাউছার আহমেদ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক শামীমা সুলতানা।
টার্নইটইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রবন্ধটির ৮৮ শতাংশ নকলের মধ্যে Idosi.org নামে একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে ৬১ শতাংশ নকল করা হয়েছে। ওই নিবন্ধটি ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
এছাড়া bfrf.org এবং bangladesh.nlembassz.org এ প্রকাশিত দুটি প্রবন্ধ থেকে ৮ শতাংশ করে, shrimpfoundation.org ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রবন্ধ থেকে তিন শতাংশ, csd.ulan.edu. bd- থেকে দুই শতাংশ এবং pubs.iclarm.net, journals.sagepub. com, documents.mx, mafiadoc.com, rfldc-noakhali.org, www.difd.stir.ac.uk ও www.bracresearch.org থেকে যথাক্রমে এক শতাংশ করে নকল পাওয়া গেছে।
তদন্ত দাবি :
ঢাবির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষার্থে সাদেকা হালিমের বিরুদ্ধে গবেষণা চুরির অভিযোগ তদন্ত করতে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচিতে সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।