নিজস্ব প্রতিনিধি : মহামারি করোনায়ার দ্বিতীয় ধাক্কায় সারা বিশ^ আবারো থমকে দাঁড়ানোর পর্যায়ে পৌছে গেলেও সাতক্ষীরায় করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ইতোমধ্যে সরকার সোমবার থেকে সারা দেশে ১ সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
মোবাইল কোর্ট ও পুলিশের ভয়ে কিছু মানুষ মাস্ক ব্যবহার করলেও জনসমাগম,সভা-সেমিনার, ধর্মীয় জলসা, কনসার্ট সবই চলছে পুরোদমে।
অথচ গত ১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তি পত্র-পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে সকলকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সকল ধরনের সভা সমাবেশ, জনসমাবেশ, ইসলামী জলশা, সামাজিক, রাজনৈতিক সভা, নামযজ্ঞ, প্যাগোডায় প্রার্থনা আগামী ১৫ দিনের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেন। অথচ এগুলোর কোনটিই মানা হচ্ছে না সাতক্ষীরায়। ১ এপ্রিল থেকে শহরের মধ্যেই একাধিক ইসলামী জলশাসহ বিভিন্ন ধরনের জনসমাবেশ, কোচিং সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র, খেলাধূলা অব্যাহত রয়েছে।
যদিও সাতক্ষীরা প্রশাসকের নির্দেশে ভ্রাম্যমান আদালতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের জন্য একাধিক স্থানে জরিমানা করা হয়েছে। তারপরও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বিভিন্ন ধরনের সভা সেমিনারের আয়োজন এবং অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম, বলেন, আমাদেরকেও কেন্দ্রীয় থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘরোয়াভাবে করতে নির্দেশ দিয়েছে। সরকার সচেতন করছেন। আমরাও করছি। সচেতন মানুষদের উচিত সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।
নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। শিক্ষার্থীরা এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। তাদের শিক্ষাজীবন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ প্রতিদিনই শহর-গ্রাম সর্বত্র কোন না কোন স্থানে সভা, ধর্মীয় সভা-সমাবেশ, প্রাইভেট কোচিং চলছেই। প্রশাসনের চোখের সামেনই এসব কমবেশি চলছে বিভিন্ন কৌশলে। অনেকেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বা মানানোর জন্য যে আন্তরিক উদ্যোগ দরকার তা দৃশ্যমান নয়।