প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সদরের বকচরা গ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দীর্ঘদিন ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টা এবং জোরপূর্বক ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক আইনজীবী সহকারি। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করনে বকচরা গ্রামের মৃত কওছার আলীর ছেলে কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, সদরের কাশেমপুর মৌজার, জে এল নং-৯৩, ১০৮৩ নং খতিয়ানে মোট ৭টি দাগে ৪৫৫ শতক জমির বৈধ মালিক ইছা খা ও ইউসুফ খা দিং। আমার পিতা কওছার আলী মন্ডল বিগত ২৬ এপ্রিল ১৯৮০ তারিখে ৫০০৬ নং কোবলা দলিল মূলে ৫ দাগের ৪০৪ শতক বিলান জমির মধ্যে ২৫ শতক এবং গত ইং ৩১ অক্টোবর ১৯৮৮ তারিখে ৭০৭১ নং কোবলা দলিল মূলে ৭ দাগে ৪৫৫ শতক জমির মধ্যে ২০ শতক জমি। যার এস এ প্রজা ইছা খান এবং ইউসুফ খা ও তাদের ওয়ারেশগণের নিকট হতে ক্রয় করেন। ২টি কোবলা দলিল মূলে ৭টি ৪৫ শতক জমি প্রাপ্ত হয়ে এস এ ৬০৯৬, ৬০২০, ৬১৪৫ ও ৪৯৭৭ নং দাগে আমার পিতা নিস্কন্ঠক ভোগদখলে থাকা অবস্থায় ৪পুত্র, ৩ কন্যা ও স্ত্রীকে রেখে ইন্তেকাল করেন। পিতার মৃত্যুর পর তার ওয়ারেশ হিসেবে আমরা ২০১০ সালে জমির মিউটেশন করে ১০৮৩/৪ খতিয়ান করে নামপত্তন করি। খাজনাদি পরিশোধ করি। উক্ত সম্পত্তি ৬০৯৬ ও ৬১৪৫ নং দাগের ২৫ শতক জমির মাঝখান দিয়ে বাইপাস সড়ক যাওয়ার কারনে একই এলাকার বাবুর আলী ঢালীর পুত্র চাঁদাবাজ আমজেদ আলী কৌশলে আমাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এর জের ধরে আমাদের সম্পত্তিতে সীমান প্রাচীর নির্মাণসহ উন্নয়ন কাজের জন্য ইট,বালু, রড, বাঁশ তক্তাসহ কিছু সরঞ্জাম রেখেছিলাম। কিন্তু আমজেদ বাহিনীর লোকজন আমার উক্ত সরঞ্জাম নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি জানতে পেরে আদালতে একটি চুরির মামলা দায়ের করি। যার বিচারিক কার্যক্রম চলমান। আমজেদ আলী এলাকার চিহ্নিত লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান হিসেবে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। আমজাদ বাহিনীর সদস্যরা হলেন, বকচরা গ্রামের রাজ্জাক আলী, শওকত ঢালী, কাশেমপুর গ্রামের আব্দুর রব দালাল, আব্দুর রহমান দালাল, ফজলুর রহমান। আমি গত ৩ এপ্রিল‘২১ তারিখে ৬০৯৬, ৬১৪৫ ও ৪৯৭৭ নং দাগের জমিতে গিয়ে ইরি ধানের চাষের আগাছা পরিস্কার করতে থাকলে আমজেদ বাহিনীর লোকজন আমার কাছে ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে উক্ত জমি দখল ও ইরি ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া গত ১৩ এপ্রিল‘২১ তারিখ সকালে ৪৯৭৭ দাগের সম্পত্তি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন ৬০৮/২১ নং মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি থেকে জোরপূর্বক ধান কেটে নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিতে গেলে জীবন নাশের হুমকি দেয় আমজেদ বাহিনীর লোকজন। তিনি আমজেদ বাহিনীর কবল থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।