কালিগঞ্জ প্রতিনিধি :
অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা শৌচাগারের জানালার গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে একই পরিবারের দু’ সদস্যকে অজ্ঞান ও পিটিয়ে জখম করে মালামাল লুটপাটের চেষ্টা চালিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলে মোরশেদ আলী গাজীকে কালিগঞ্জ সার্জিকাল ক্লিনিক ও আনোয়ারা খাতুনকে সাতক্ষীরার সংগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
গোবিন্দপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন জানান, রতনপুর বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার মালিক তিনি। কয়েকদিন ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দুর্বত্তরা তার বাড়িতেই টাকা আছে ভেবে শনিবার গভীর রাতে তার বাড়িতে এসে চেতনানাশক স্প্রে করে তার বাবা মোরশেদ আলী গাজী (৮৫) ও ছেলে তরিকুল ইসলামকে অজ্ঞান করে ফেলার চেষ্টা করে। এরপর রাত আড়াইটার দিকে অজ্ঞান পার্টি চক্রের তিন সদস্য শৌচাগারের জানালা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢোকে। চিৎকার করায় ওই চক্রের সদস্যরা তার ছেলে তরিকুল ও বাবা মোরশেদ আলীকে মারিপট করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার বাবার ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে তাদের উপর হামলা করে। তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন চিৎকার করায় লোহার রড দিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে জখম করা হয়।
এ সময় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তার আলমারির ড্রয়ার খুলে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করার চেষ্টা করে। রাত তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। স্থানীয়রা তার বাবা ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাবাকে কালিগঞ্জ সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও স্ত্রীকে সাতক্ষীরার সংগ্রাম ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোয়াজ আবরার জানান, আনোয়ারা খাতুন ও তার শ্বশুরকে রোববার ভোর পৌনে ৫টার দিকে ভর্তি করা হয়। আনোয়ারা খাতুনের মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মোরশেদ আলীর মাথায় আঘাত ও চেতনা ফেরেনি। ফলে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে উপ-পরিদর্শক গোবিন্দ আকর্ষণকে পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।