সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের কুশুলিয়া ইউনিয়নে হতদরিদ্রের আইডি কার্ড ও ছবি ব্যবহার করে অন্য ব্যক্তিকে শিশুকার্ডের চাউল দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, উপজেলার গোবিন্দপুর গাজী পাড়া এলাকার নুর ইসলামের স্ত্রী রাশিদা খাতুন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি কুশুলিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আমরা হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ। আমার স্বামী দীন মজুর দিয়ে সংসার পরিচালনা করেন। কিন্তু বর্তমানে আমার স্বামী মারাত্মক অসুস্থ্য হওয়ায় ঠিকমত কাজ করতে পারেন না। ফলে আমি নিজেই মাঠে জনমজুরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। সরকারের শিশু কার্ডের চাউল পাওয়ার আমাদের ন্যায্য অধিকার থাকলেও কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম ও মেম্বর শেখ আজিবার রহমান আমাদেরকে শিশু কার্ডের চাউল থেকে বঞ্চিত করেছেন। আমরা খবর নিয়ে জেনেছি শিশু কার্ডের তালিকায় ৯ মাস যাবত আমার ভোটার আইডি কার্ড, আমার ছবি সম্বলিত কার্ডের চাউল উত্তোলন করে যাচ্ছেন জনৈক এক ব্যক্তি। এবিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি বলেন, তোমাদের কার্ড হবে না।
আমি দ্বীন মজুর হলেও আমাকে কেন বঞ্চিত করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, মেম্বরের কাছে যান। আর মেম্বর বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে যান। একপর্যায়ে মেম্বর আমার কাছে ৫’শ টাকা দাবি করেন এবং চেয়ারম্যান অনলাইন করার অজুহাতে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় আমার কার্ডে চাউল উত্তোলন করে তারা অন্য আর একজনকে দিচ্ছেন। শুধু মাত্র টাকা দিতে না পারায় আমার মত হতদরিদ্রকে বঞ্চিত করছেন চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম। এমনকি তার কার্যালয় থেকে আমাদের তাড়িয়েও দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু আমাকে বঞ্চিত করেননি। আমার মত ইউনিয়নের বহু মানুষের ভোটার আইডি ও ছবি ব্যবহার করে শিশু কার্ডের চাউল উত্তোলন করে চেয়ারম্যান ও মেম্বররা তা আত্মসাৎ করছেন। অথচ আমি হতদরিদ হয়েও প্রাপ্য শিশু কার্ডের চাউল না পেয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি। সংবাদ সরেম্মলন থেকে তিনি এ সময় একজন হতদরিদ্র হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ শিশু কার্ডের চাউল যাতে তিনি পেতে পারেন তার যথাযথ ব্যবস্থা এবং ওই চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।##