সদর উপজেলার ১৩নং লাবসা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বর আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক লাবসা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর মো: সিরাজুল ইসলাম এর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সদর উপজেলার আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
১৩ ডিসেম্বর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী স্বাক্ষরিত এক পত্রে নিন্দা জানান। সাথে সাথে উক্ত নগ্ন মামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য: সদর উপজেলা ইউপি নির্বাচনে ইসমাইল নামক এক ব্যক্তি সদর উপজেলার মথুরাপুর বাইপাসের পাশে সরকারী জায়গায় চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। নির্বাচনে চা বিক্রেতা ইসমাইল নৌকার পক্ষে কাজ করে। এরই জের ধরে তার চায়ের দোকান ভেঙ্গে উচ্ছেদ করে লাবসা ইউপির ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ। এঘটনায় ইসমাইল বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করে। এঘটনায় সদর এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বরাবর অভিযোগ দিলে সোমবার সদর এমপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান।
পরিদর্শন শেষে সদর এমপি চলে গেলে ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য আসাদ, আলতাফ হোসেন আলতু, ওবায়নুর, বেল্লাল, রফিক, আবু তালেবের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এবং আসাদের সাথে ইউপি সদস্য পদে সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী সিরাজুল ইসলাম ও দেবনগর এলাকার মৃত শওকত গাজীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৪) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আসাদুজ্জামান আসাদ ও সিরাজুল ইসলাম ইউপি সদস্য পদে করায় আসাদুজ্জামান তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। এর জের ধরেই এহামলা চালানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি