গত ৪জুন (রোববার) সন্ধ্যায় কলকাতার নজরুল মঞ্চে টেলি-সিনে সোসাইটির ১৬তম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেরা চলচ্চিত্রের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘আয়নাবাজি’।
‘আয়নাবাজি’ পরিবারের পক্ষ থেকে ছবিটির পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং ছবির কাহিনিকার গাউসুল আজম শাওন অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ও টপ অব মাইন্ড এর সিইও জিয়াউদ্দিন আদিল এবং টম ক্রিয়েশনস এর সিইও সালমা আদিল।
‘আয়নাবাজি’র সেরা অভিনেতা হিসেবে বাংলাদেশের খ্যাতিমান অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে ভূষিত করা হয়। চঞ্চল চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ‘আয়নাবাজি’র পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
‘আয়নাবাজি’র ভেলকি যেন থামবার নয়। বিশ্বের বিভিন্ন নামি দামি চলচ্চিত্রের আসরে সেরা চলচ্চিত্রের সম্মাননা অর্জন করে তা প্রমাণ করেছে ‘আয়নাবাজি’।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমি পুরস্কার নিতে যেতে পারিনি আমার হয়ে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।’
অমিতাভ রেজা বলেন, “ ‘আয়নাবাজি’ আজ সারা দেশে ব্যাপক সফলতা অর্জনের পর দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সীমানা পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে । ‘আয়নাবাজি’ সবার প্রত্যাশা অতিক্রম করে এখন দেশের আশা ও স্বপ্নের একটি বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিন্তাকে চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত করতে পারাই একটি অসাধারণ কাজ এবং তারপর সেটিকে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের পছন্দে রূপান্তরিত করা তার চেয়েও অসাধারণ একটি কাজ। টেলি-সিনে সোসাইটির এই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি আমাদের চিন্তার সৃজনশীলতার জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ।”
কলকাতায় অনুষ্ঠিত এ টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডে চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’ ছাড়াও বাংলাদেশের ছয়জনকে পুরস্কৃত করা হয়। বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এবারের আসরে নায়করাজ রাজ্জাককে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সেরা নায়কের পুরস্কার দেয়া হয় বাংলাদেশের শাকিব খানকে। যৌথপ্রযোজনার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দুই বাংলার বড়পর্দায় স্থান করে নেওয়া নুসরাত ফারিয়াকেও পুরস্কৃত করা হয় এ আসরে। এছাড়া, সংগীতে বাংলাদেশ থেকে আইয়ুব বাচ্চু, হাবিব ওয়াহিদ ও কনাকে এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়। উৎসবে প্রত্যেকেই উপস্থিত থেকে তাদের সম্মাননা গ্রহণ করেন।