নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় জনকল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সমিতির সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় জমাকৃত সমূদয় টাকা ফেরত পেতে অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগি গ্রাহকরা।
বাঁকাল বারুই পাড়ার কার্তিক মজুমদারের ছেলে দিলীপ মজুমদারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী মুনজিতপুর এলাকার ভাড়াটিয়া জনকল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির সভাপতি ও শহরের খান মার্কেটের মাতৃ জুয়েলার্স এর ভাগ্না কার্তিক, ক্যাশিয়ার মো. বিল্লাল হোসেন, গোপাল, উজ্জলসহ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা কথিত জনকল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতি বাঁকাল- সাতক্ষীরা, রেজিঃ ১৩/সাত
সঞ্চয় ও ঋণ পাশ বই নামে ২০০৭ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে এবং ডিপিএস. এফ.ডি.পিএস এর নামে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ৫ বছর, ৬ বছর ও ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদী মাসিক ১০০০,২০০০,৪০০০ ও ৫০০০ টাকা হারে সঞ্চয় সংগ্রহ শুরু করে।
বাঁকাল এলাকার গ্রাহক ছাড়াও অধিকাংশ গ্রাহক শহরের খান মার্কেট ও আশ পাশের স্বর্ণকার এবং স্বর্ণ শ্রমিকদের ২০১৯ সালে অনেকের সঞ্চয়ের মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করে তালবাহানা শুরু করে।
এমতাবস্থায় গত ০৩/০৬/২০২২ তারিখে ভূক্তভোগি গ্রহকরা বাঁকাল অফিসে গিয়ে সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চাহিলে গ্রাহকরা টাকা পাবেনা বলে দেয় এবং হুমকি-ধামকি প্রদর্শণ করে জনকল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির কর্মকর্তরা। যে কারণে ভূক্তভোগিরা সমূদয় টাকা ফেরত পেতে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
বুধবার (২৯ জুন) শহরের খান মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক স্বর্ণ শ্রমিক তাদের সঞ্চয়ের বই নিয়ে সমূদয় টাকা ফেরত পেতে বিক্ষোভ করছে।
এসময় গ্রাহক দিলীপ মজুমদার বলেন, আমার ৫টা সঞ্চয় বই আছে আমি মোট ১৮ লক্ষ টাকা পাবো, গ্রাহক বিল্লাল হোসেন সে পাবে ১১ লক্ষ টাকা, বিশ্বজিৎ ৬৩ হাজার টাকা, সুশান্ত কুমার চৌধুরী ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, অমল সরকার ৬৫ হাজার টাকা, মুকুন্দ ঢালী ২ লক্ষ টাকা, দেবাশীষ ১ লক্ষ টাকা, বিশ্বনাথ ১ লক্ষ টাকা, বাতেন মোল্যা ২ লক্ষ টাকা, উজ্জল ১ লক্ষ টাকা ও বিশ^দেব ভারতী ১৩ হাজার
টাকাসহ অসংখ্য গ্রাহক কথিত জনকল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির কাছে প্রায় ১ কোটির মত টাকা পাবে গ্রাহকরা। এব্যাপারে জেলা সমবায় অফিসার খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনও কোন অভিযোগ পায়নি।
অভিযোগ পেলে কথিত জনকল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এব্যাপারে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এসআই ইসমাইল হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে কথিত জনকল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির সভাপতি কার্তিক বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেব বলে জানান।
ভূক্তভোগি গ্রাহকরা যে কোন মূহুর্তে কথিত জনকল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির সভাপতি মাতৃ জুয়েলার্স এর কারখানায় কর্মরত কার্তিকসহ কর্মকর্তাদের উপর চড়াও হয়ে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সৌপর্দ করতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।