দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে এক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নাম বাতিল করতে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
দেবহাটা উপজেলার গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর ঢালী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবুর আলীসহ এলাকাবাসী লিখিতভাবে মন্ত্রনালয়ের সচিব, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ মতে জানা গেছে, উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মৃত শহর আলী গাজীর ছেলে আনছার আলী একজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা। দেবহাটা উপজেলার জনৈক আব্দুল মান্নানের জন্মস্থান ভারতে। মান্নান ঢাকায় চাকরী করার সুবাদে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সাথে তার যোগাযোগ ছিল। বিবাদী আনছার আলী উক্ত মান্নানের ঢাকার বাসায় কেয়ার টেকার হিসেবে কাজ করত। যার কারনে মান্নান অবৈধ যোগাযোগের মাধ্যমে উক্ত আনছার আলীকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্ত করায়। সেসময় থেকে আনছার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে।
পরে যাচাই বাছাই শুরু হলে আনছার আলী তার পক্ষে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর ঢালী, আব্দুল করিমসহ বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অনুনয় বিনয় করে। কিন্তু সে (আনছার) ভূয়া হওয়ার কারনে তারা তার পক্ষে স্বাক্ষর বা স্বাক্ষীতে নাম দেয়নি।
পরে আনছার আলী কালীগজ্ঞ উপজেলার খানজিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারকে সমাজসেবা অফিসে তার একটি স্বাক্ষর বাকি আছে বলে ডেকে এনে সমাজসেবা অফিসের পিয়ন সাব্বির হোসেনের সহযোগীতায় আনছারের পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে নেয়। আব্দুস সাত্তার লেখাপড়া না জানার কারনে উক্ত কাগজে সই দিয়ে দেয়।
কিন্তু আনছার আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে এবং তার ছেলেমেয়েরাও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিভিন্ন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরী করছে। সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করলে উক্ত আনছার আলীর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে না তালিকাভুক্তকরনের বিষয়টি প্রমানিত হবে। তাই অভিযোগকারীরা উক্ত আনছার আলীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।