কাশিমাড়ী প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীতে আমন ধান ঘরে তোলার পর আগাম তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অধিক লাভের আশায় তারা এ তরমুজ চাষ করছেন। তবে বীজ ও স্যারের দাম বেশি থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় এবছর কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ করছেন কৃষকরা। আগামী মার্চ/এপ্রিল মাসেই তরমুজ বাজারে পাওয়া যাবে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কেউ কেউ চারাগাছের পরিচর্যা করছেন, কেউবা পানি সেচ দিচ্ছেন, কেউবা আবার মাটির সাথে সার মিশাচ্ছেন। সবমিলিয়ে তরমুজ ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
খুটিকাটা গ্রামের কৃষক নীলকমল মন্ডল জানান, বাজারে যার তরমুজ যত আগে উঠবে, তার লাভ ততো বেশি হবে। তাই আগে-ভাগেই তরমুজ চাষ শুরু করেছি। তবে সারের দাম একটু বেশি। এবার ১.৫ একর জমিতে আগাম চাষ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতি বিঘা জমিতে সার ঔষধ খরচ হবে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। বীজের দাম বেশি থাকায় খরচের পরিমানটা একটু বেশি হতে পারে। বীজ ও সারের দাম সহনীয় রাখার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তরমুজ চাষে ভাল লাভবান হবো বলে আশা করছি।
অত্র এলাকায় নীলকমল মন্ডল ছাড়াও কামাল হোসেন, আলমাদানী, প্রনয় মন্ডল, সূর্য মন্ডল, ইফতেখার আলী, ব্রজেন মন্ডল, আইয়ুব আলী ও আব্দুল মাজিদও এ বছর তরমুজ চাষ করছেন।
তরমুজ চাষীরা জানান, কৃষি অফিসার আমাদের কে সব সময় পরামর্শ ও নানান ভাবে সহযোগিতা করছেন। আমাদের তরমুজ চাষ দেখে এ এলাকায় নতুন নতুন তরমুজ চাষী তরমুজ চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (গোবিন্দপুর ব্লক) শামসুর রহমান বলেন, অনেক কৃষকই আগাম তরমুজ চাষ করছেন। ভাল ফলনের লক্ষে এসব চাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর শ্যামনগর সর্বদা তরমুজ চাষীদের সাথে আছে। এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল মিষ্টি পানির সমস্যা। তবে অত্র এলাকায় চলতি মৌসুমে কয়েকটি মিষ্টি পানির পুকুর খনন করা হয়েছে। আশাকরা যাচ্ছে এসকল পুকুরে মিষ্টি পানির সরবরাহ থাকলে আগামীতে তরমুজের আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে। এ বছর অত্র ইউনিয়নে ২৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে।