নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের চিহ্নিত দালাল ও লম্পট মন্টু কর্তৃক একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী আলীপুর তালবাড়িয়া গ্রামের দুলাল চন্দ্র দাসের পুত্র প্রশান্ত দাস।
রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি। ভুক্তভোগী প্রশান্ত দাস বলেন, আমাদের সাথে তুচ্ছ ঘটনায় মাহমুদপুর গ্রামের মতিসানার পুত্র চিহ্নিত দালাল, নারী লোভী ও ভূয়া মেজর পরিচয়দানকারী আমিনুর ইসলাম মন্টু’র সাথে বিরোধ বাধে। এর জের ধরে মন্টু আমাকে হয়রানি করতে একের পর এক মিথ্যা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। মন্টুর দেওয়া ওই মিথ্যা মামলার কারনে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। মন্টুর দেওয়া মামলা কারনে আমাকে যারা সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে মন্টু।
ফলে আমার সাথে কেউ মিশতেও সাহস পায় না।
মন্টু ২০২২ সালের ১৭ মার্চ রাতে ছাগল চুরি করতে গিয়ে বাইপাস এলাকায় ধরা পড়ে গণধোলায় এর স্বীকার হয়। ২০২১ সালের ৩ জুলাই বৈকারী এলাকায় লুচ্চামী করতে স্থানীয় এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়। সেসময় উত্তেজিত জনতা পিটিয়ে গাছের সাথে বেধে রাখে। এছাড়া ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আলীপুর হাটখোলা ঋষিপাড়া এলাকায় এক নারীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার ঋষিপাড়া সম্প্রদায়ের মানুষ তাকে বেধে রেখে গণপিটুনি দেয়। এছাড়া এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়েও অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে মোবাইলে বিভিন্ন মানুষকে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে।
তিনি আরো বলেণ, তার ভয়ে এলাকার নারীরা সব সময় ভীতু সন্ত্রস্থ থাকে। মন্টু প্রকাশ্যে চায়ের দোকানে হুমকি প্রদর্শন করে বলছে, “প্রশান্তের বিরুদ্ধে এত মামলা দেবো, যাতে বাধ্য হয়ে ভিটে বাড়ি ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়। এখন তো শুধু চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছি, এরপর অস্ত্র ও মাদক মামলা দেবো” এছাড়া খুন জখমের হুমকি ধামকি তো রয়েছেই। মন্টুর চক্রান্তে আমিসহ গোটা ঋষিপাড়ার মানুষ আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে ওই দালাল মন্টুর দেওয়া মিথ্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেতে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।