নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্যাংদহায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৫ টায় ব্যাংদহা বাজার চান্নি চত্ত্বরে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মোনায়েমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আ ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল খায়ের সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আবু সায়ীদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজাহান আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শেখ মারুফ হোসেন মিঠু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামুয়েল ফেরদৌস পলাশ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. লুৎফার রহমান, সাধারণ সম্পাদক সামছুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মহাদেব চন্দ্র ঘোষ, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ডা.গোবিন্দ কুমার দাশ প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির কাছে যে ওয়াদা দিয়েছিলেন তা এক এক করে বাস্তবায়ন করছেন। তিনি অসম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষা, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিলো ক্ষমতায় আসার পর ৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নতি হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে ২১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা-এল্লারচর-ব্যাংদহা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে বলে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, দেশকে স্বাধীন করতে ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত ঝরাতে হয়েছে। ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জ¦তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। বিগত দিনে জামাত বিএনপি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে, ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে, রাস্তা-ঘাট অবরোধ করেছিল, অনেকের ধনসম্পদ লুটপাট করেছে। দেশ অনেক পিছিয়ে ছিলো। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আর পিছিয়ে নেই উন্নয়নে দেশ এগিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে জাতীয় সংঘ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আজমীর হোসেন বাবু।