কিশোরগঞ্জ শহরের পাগলা মসজিদের ভল্ট খুলে মিলেছে প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া সোনা, রুপা ও বৈদেশিক মুদ্রাও মিলেছে। তবে এসবের হিসাব এখনো করা হয়নি।
গতকাল শনিবার তিন মাস পর মসজিদের ভল্ট খোলা হয়। এতে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যায় এবার।
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদ অবস্থিত। মসজিদের সঙ্গে একটি মাদ্রাসাও রয়েছে। সাধারণের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।
মসজিদটি পরিচালনার জন্য একটি কমিটি রয়েছে। কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক (পদাধিকারবলে) মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস আর সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মাজহারুল ইসলাম ভুঁইয়া কাঞ্চন।
গতকাল ভল্ট খোলার সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষে নির্বাহী হাকিম আবু তাহের সাঈদ উপস্থিত ছিলেন। রোববার দুপুরে তিনি বলেন, ‘সাধারণত তিন মাস পর পর মসজিদের ভল্ট খোলা হয়। গতকাল ভল্ট খোলা হয়েছে। এতে নগদ এক কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। সোনা, রুপার পরিমাণ এখনো মাপা হয়নি। এ ছাড়া বেশ কিছু মার্কিন ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলার, সৌদি রিয়াল, মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেগুলো এখনো ভাঙানো হয়নি।’
‘এই মসজিদের যখন ভল্ট খোলা হয়, তখন সাধারণত এক কোটি টাকার কাছাকাছি পাওয়া যায়। এবার সর্বোচ্চ টাকা পাওয়া গেছে’, যোগ করেন নির্বাহী হাকিম।
এই টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও সরকারের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয় বলে এলাকাবাসী জানান।
মসজিদটি অনেক পুরোনো। এখানে জুমার দিন প্রচুর লোকসমাগম হয়। মসজিদে নারীরা আলাদা নামাজ আদায় করতে পারেন।