নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘যাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেই কৃষকই জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে খাদ্য, চিকিৎসা ও আবাসিক সংকটে পড়ে অনিশ্চিত জীবনযাপন করে। অথচ দেশের এই বড় অংশের কর্মসংস্থান নিশ্চিতে সরকারকে কখনো ভাবতে হয়নি। কিন্তু এখন কৃষকের শেষ জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভাবার সময় এসেছে। তাই কৃষক পেনশন স্কিম চালু করতে হবে।’ রোববার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৬ উপলক্ষ্যে খাদ্যযোদ্ধা কৃষক-কৃষাণীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এই দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন, আর্থিক সমস্যার কারণে কৃষকরা উৎপাদিত ফসল মৌসুমের শুরুতেই বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। তাই ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতসহ পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করতে হবে। সভায় তুজলপুর কৃষক ক্লাবের সভাপতি ইয়ারব হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি আনিছুর রহিম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সনাক-সাতক্ষীরার সদস্য কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জোৎ¯œা দত্ত, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহীন ইসলাম, সাতক্ষীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের আহবায়ক আসাদুল ইসলাম, কৃষক আবু মুছা, কৃষক ইমদাদুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে খাদ্যযোদ্ধা কৃষক-কৃষাণীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সদস্য শাহরিয়ার সোহাগ আবৃত্তি করেন ‘চাষী’ কবিতা। পরে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে অসামান্য অবদান রাখায় সাতক্ষীরার ১৮ খাদ্যযোদ্ধা কৃষক-কৃষাণীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের আকলিমা খাতুন, শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের কৃষক নিরঞ্জন জোয়ারদার, শ্যামনগরের চুনা নদীর চরে নির্মিত ব্যারাকের আদিবাসী নারী বিনোদিনী মুন্ডা, পদ্মপুকুরের কৃষক হাকিম গাজী, পাখিমারা গ্রামের গৃহিনী নাসরিন নাহার, মানিকখালী গ্রামের কাঞ্চন রানী বৈদ্য, গড়কুমারপুর গ্রামের হামিদা খাতুন, কালমেঘা গ্রামের কৃষ্ণপদ গাইন, অর্চনা রানী, চিংড়াখালী গ্রামের রাসিদা বেগম, চকবারা গ্রামের কৃষক আবু মুসা, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের আশুরা বেগম, জেয়ালা গ্রামের কৃষক ইমদাদুল হক, আলিপুর গ্রামের কৃষক ইউছুফ গাজী, তুজলপুর গ্রামের তুজলপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর কবীর, মাহমুদপুরের ইউনুচ আলী, সাতক্ষীরা শহরের পুষ্টির ফেরিওয়ালাখ্যাত রুহুল কুদ্দুস রনি ও আশাশুনি উপজেলার গোঁদাড়া গ্রামের বাবর আলী।
পূর্ববর্তী পোস্ট