নিজস্ব প্রতিবেদক : জালাল গাজী। অতি পরিচিত একটি নাম। কালিগঞ্জের ফতেপুরে জ্বালাও পোড়াও মামলার অন্যতম চার্জশিটভূক্ত আসামী জালাল উদ্দিন গাজী আ’লীগ নেতাদের অন্তরালে থেকে জামায়াতের কার্যক্রম ও দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। সে সব সময় কালিগঞ্জ আ’লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন জমির দখলবাজি ও জামায়াতের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সে ২০১২সালের কালিগঞ্জের ফতেপুরে নিরিহ মানুষের বাড়িতে আগুন দেয়। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি পরিবারের ঘরবাড়ি। জালাল উদ্দিন গাজী (৫০) কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুরের মৃত মান্দার গাজীর ছেলে। জালাল উদ্দিন গাজী ২০১৩ সালের ২ ফেব্র“য়ারি দেলোয়ার হোসেনের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায় দেয়ার পর দেশব্যাপি নাশকতা ও সহিংসতায় তার ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মত ছিল। স্থানীয়রা জানায়, জালাল গাজী ওই সময় এলাকার অন্যান্য জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সাথে রাস্তা কাটা, গাছ কাটা, ভাংচুর ও জ্বালাও পোড়াও থেকে শুরু করে সব ধরনের কার্যক্রম চালায়। এমনকি হরতালের নামে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন আরো দীর্ঘস্থায়ী করতে বিভিন্ন সময় অর্থ, খাওয়ার জন্য নইলে চাউল, পোল্ট্রি মুরগী ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রি দিয়ে সহযোগিতা করে। স্থানীয়রা আরো জানায়, পরবর্তীতে জালাল গাজী গা ঢাকা দিয়ে স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও পুলিশ কে ম্যানেজ করে আবারও তার গতি ফিরে আনে। এত কিছু করার পরও তার বিরুদ্ধে একটাও সহিংসতা ও নাশকতার মামলা হয়নি। এখনও সে বুক ফুঁলিয়ে বিভিন্ন এলাকা দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপর সে শুরু করে বিভিন্ন হিন্দু পরিবারসহ বিভিন্ন মানুষের জমি দখল। বর্তমানে তার কাজ অসহায় মানুষকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে জালজালিয়াতি করে জমি দখল করা। এর জন্য স্থানীয় কিছু আ’লীগ নেতাদের মাধ্যমে সে তার কাজ নির্বিঘেœ চালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে কেউ মূখ খুলতে চায় না। কারণ সে এখন আ’লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায়। তবে তাকে বিভিন্ন সময় উপজেলা সেটেলমেন্ট, ভূমি অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে অনেক চলাচল অনেক বেশী। স্থানীয়রা জানায়, জালাল গাজী কয়েক বছর পূর্বে কালিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত কার্তিক মূখার্জীর সম্পত্তি তার ভাই জলিল গাজী ও পিতা মৃত মাদার গাজীর নামে রেজিষ্ট্রি করে নেয়। রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার পর তার যে প্রাপ্য টাকা না দিয়ে তাকে হুমকির মূখে জোর পূর্বক ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে সেই জমি কৌশলে তাদের কাছ থেকে নিজ নামে করে নিয়ে সবাই কে ফাঁকি দেয়। যার ফলে তার ভাইদের সাথে তার দ্বন্দ্ব বাধে। এদিকে, জমি নেয়ার পর রেজিষ্ট্রিকৃত জমির ওপর বাড়িতে জালাল তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। কিন্তু অপর পুলিনের অপর ভাইরা জমি না দিলেও তাদের জমি দখল করার পায়তারা চালায়। পরবর্তীতে তা একটি শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে পুলিন ওরফে দারোগা মূখার্জীর অপর তিন ভাই পুনরায় বসবাস শুরু করে। জালাল আবারও দখলবাজিতে নেমেছে। পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে দখলের। স্থানীয়রা আরো জানায়, জালাল গাজী ২০১২সালের জ্বালাও পোড়াও মামলার চার্জশিট ভুক্ত ৬নং আসামী হয়ে ও দেশব্যাপি নাশকতা ও সহিংসতার সময় তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কারণ সে এখন নতুন করে তার ভোল পাল্টে হাইব্রীড আ’লীগ নেতা হবার স্বপ্ন দেখছে। স্থানীয়রা এব্যাপারে পুলিশ সুপার সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও জেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন সহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট