দলে একাধিক বিদেশি তারকা, তারপরও প্রথম ম্যাচটা হেরে যায় ঢাকা ডায়নামাইটস। সিলেটের বিপক্ষে আগের ম্যাচটা হেরে বেশ চাপে ছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে আপাতত চাপমুক্ত ডায়নামাইটসের অধিনায়ক। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইটানসকে ৬৫ রানে হারিয়ে এবারের আসরে প্রথম জয় পেল তাঁর দল।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে খুলনার বোলারদের পিষ্ট করে ২০২ রানের বড় স্কোর দাঁড় করে ঢাকা ডায়নামাইটস। জবাবে ১৩৭ রানেই শেষ হয় খুলনার ইনিংস।
২০৩ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে কখনই সপ্রতিভ ছিলেন না খুলনার ব্যাটসম্যানরা। শুরুতেই জোড়া আঘাত করে খুলনার ইনিংস কাঁপিয়ে তোলেন সাকিব আল হাসান। ৮ রানের মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত ও কার্লোস ব্রাফেটকে ফেরান এই স্পিনার। চ্যাডউইক ওয়ালটন কিছুটা হাত খোলার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকেও ফেরান সাকিব।
৪৩ রানে তিন উইকেট ফেরান খুলনা আর কখনই ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১৩৭ রানেই গুটিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। জফরা আর্চার করেন সর্বোচ্চ ৩৬ রান। এ ছাড়া ওয়ালটন ৩০ ও রিলে রুশো করেন ২৩ রান।
আবু হায়দার রনি তিনটি উইকেট নেন। এ ছাড়া সাকিব ও খালিদ আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে আজ টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিল ঢাকা ডায়নামাইট। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৬ রান। সেখানে কুমার সাঙ্গাকারার অবদান ১২ বলে ২০ রান। এই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৯ ওভারে ১১৬ রান যোগ করেন ক্যামেরন দেলপোর্ট ও এভিন লুইস। ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দেলপোর্ট। দলীয় ১৫৬ রানে লুইস ফিরে যান। ৪০ বলে ৬৬ রান করেন তিনি। এরপর ১৫তম ওভারে ৬৪ রান করা দেলপোর্ট ফিরে গেলে ঢাকার রানের চাকাটা স্থবির হয়ে পড়ে। সাকিব আল হাসান, কাইন পোলার্ডরা তেমন কিছুই করতে পারেননি। সাকিব এক ও পোলার্ড করেন পাঁচ রান। শেষে দিক সুনীল নারাইন ১১ বলে ১৬ রান করলে শেষ পর্যন্ত ২০২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা ডায়নামাইটস।
খুলনা টাইটানসের আবু জায়েদ ও শফিউল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট।
ঢাকা ডায়নামাইটস একাদশ : সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী মারুফ, জহুরুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, সুনীল নারাইন, কুমার সাঙ্গাকারা, এভিন লুইস, কাইরন পোলার্ড ও ক্যামেরন দেলপোর্ট।
খুলনা টাইটানস একাদশ : মাহমুদউল্লাহ, শফিউল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, আবু জায়েদ, আরিফুল হক, রিলে রুশো, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, চ্যাডউইক ওয়ালটন, জফরা আর্চার ও আকিলা ধনঞ্জয়া।