কিম জং উনকে অপমানের অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষারোপ করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম। এজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের মৃত্যুদণ্ড হওয়া দরকার এবং কোরিয়ান সীমান্তে সফর বাতিলের ঘটনায় তাকে কাপুরুষ হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের দক্ষিণ কোরিয়া সফরকে কেন্দ্র করে রোডং সিনমান পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় ক্ষোভ ঝেড়ে একটি লেখা ছাপা হয়। সিউলে দেয়া বক্তব্য উত্তর কোরিয়ায় কিমের একনায়কতন্ত্র চলছে উল্লেখ করে ট্রাম্প যে মন্তব্যগুলো করেছেন, তার প্রতিক্রিয়া জানানো হয় ওই সম্পাদকীয়তে।
এশিয়ার পাঁচটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে এবং উত্তর কোরিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দী দক্ষিণ কোরিয়ার সমর্থনের উদ্দেশ্যে দেশটিতে সফরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোডং সিনমান পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, ‘তিনি (ট্রাম্প) যে ধরনের জঘন্য অপরাধ করেছেন, তা কখনোই ক্ষমা করা হবে না। তিনি উদ্ধত আচরণের মাধ্যমে আমাদের সর্বোচ্চ নেতাকে আঘাত করেছেন।’
‘তার জেনে রাখা উচিত যে, তিনি যে ধরনের জঘন্য অপরাধ করেছেন তার জন্য কোরিয়ার মানুষের হাতে তার মৃত্যুদণ্ড অনিবার্য।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কিম জং উনের সঙ্গে বাকযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। কথার মাধ্যমে কিমকে অপমান-অপদস্থ থেকে শুরু করে বোমা মেরে উত্তর কোরিয়া উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন তিনি।
সম্প্রতি এশিয়া সফর শেষে ট্রাম্পের করা এক টুইটের পর থেকে উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে। ট্রাম্প লেখেন, ‘কিম জং উন কেন আমাকে বৃদ্ধ বলে অপমান করেছে, আমি তো তাকে বেঁটে এবং মোটা বলিনি?’
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বিভিন্ন হুমকির প্রেক্ষাপট থেকে ধারণা করা হচ্ছে একক ক্ষমতা পেলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো যে কোনো সময় পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে দিতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের একক ক্ষমতা কতটা নিরঙ্কুশ থাকা উচিত তা নিয়ে একটি সিনেট কমিটিতে কংগ্রেসের শুনানিও হয়েছে।
সিনেটরদের একাংশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো যে কোনো সময় পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে দিতে পারেন। আবার কিছু সিনেটর মনে করেন, কোনো আইনজ্ঞের হস্তক্ষেপ ছাড়াই তার এ কাজ করার অধিকার থাকা উচিৎ।