সাভারে মাদ্রাসার অভ্যন্তরে এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে সেখানকার এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন বিশ্বাস বলেছেন, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগড়াকান্দা এলাকায় হাফিজুল উলুম কবরস্থান মাদ্রাসার শিক্ষক ফিরোজ হোসেনকে (৩৫) আটক করা হয়েছে।
আজ দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।
শিক্ষকের এহেন আচরণের অভিযোগ আসায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী। তাঁর কঠোর শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ফিরোজ আরো অন্তত পাঁচটি শিশুর সঙ্গে একই ধরনের আচরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ভয়ে শিশুরা নির্যাতনের কথা বলত না।
নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাড়ি সাভারের মোগড়াকান্দা এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুটি অভিযোগ করে, মাদ্রাসাটি দোতলা। গতকাল রাতে সে নিচতলায় সহপাঠীদের সঙ্গে ঘুমাতে যায়।
‘অনেক রাতে হুজুর আমাকে ঘুম থেকে তুলে তাহাজ্জুদ নামাজ একসঙ্গে পড়ার কথা বলে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। তারপর এসব করেন। আমি চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই।’
তখন শিশুটির সহপাঠীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শিক্ষককে আটক করে পুলিশে খবর দেন।
এদিকে শিশুটির বাবা অভিযোগ করেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে প্রভাবশালীরা তাঁকে মামলা না করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।