রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব ও রাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ, রাজশাহী মহানগরীর নারিকেল বাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী। এর মধ্যে শরিফুল পলাতক রয়েছেন। আর জামিনে রয়েছেন আবদুস সাত্তার। বাকি তিন আসামিকে দুপুরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে রায় ঘোষণার পর অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর মেয়ে রেজওয়ানা শতভী বলেন, রায়ে আমার পরিবার সন্তুষ্ট। তবে দ্রুত রায়ের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
এর আগে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হয় ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর। এরপর অভিযোগপত্রে আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আট আসামির মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান ও তারেক হাসান ওরফে ওসমান অভিযোগপত্র দেয়ার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। তাই তাদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ পরিচালিত হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, গত ১১ এপ্রিল মামলার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওই দিন বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। তবে আদালত ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।