নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরল রোগে আক্রান্ত সবার আদরের মুক্তামণির গ্রামে চলছে শোকের মাতম। সারা বাড়িতে পাথরের নিরবতা। মাঝে মাঝে ডুকরে কান্নার শব্দ। মুক্তামণি আর নেই এমন সংবাদ শোনার পর গোটা সাতক্ষীরায় নেমে আসে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে মুক্তামণির মৃত্যুর খবর। সাথে সাথে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন, পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাবেক ইউএনও বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহ আব্দুল সাদী, সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মো: শওকত হোসেন, উপজেলা আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাজান আলী, উপজেলা আ,লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাসুম,ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মোশাররফ হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামজিক নেতৃবৃন্দ।
সেখানে মুক্তামণির পিতা মাতাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং মুক্তামণির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এসময় পুরুষ নারী শিশু সহ সকলের মধ্যে বিরাজ করে শোকাবহ পরিবেশ। বুধবার জোহর নামাজের পর মুক্তামণির জানাজা শেষে দাদার কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
প্রসঙ্গত বুধবার (২৩ মে ২০১৮) সকালে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মুক্তামণি না ফেরার দেশে চলে গেছে। মুক্তামণির নানা ফকির আহমেদ বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
২০১৭ সালের জুলাই মাসে বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামণিকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামণির চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন। মুক্তামণির রোগমুক্তির গোটা বাংলাদেশ দোয়া প্রার্থনা করেছে। দেশ বিদেশের পত্রপত্রিকায় তার রোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মুক্তামণির চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনসহ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ছয় মাস চিকিৎসার পর হাতের অবস্থা কিছুটা ভালো হলে তাকে এক মাসের জন্য গ্রামের বাড়িতে আসার অনুমতি দেয়া হয়।
চির নিদ্রায় শায়িত মুক্তামণি
পূর্ববর্তী পোস্ট