আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক আইনের কোনও তোয়াক্কা না করে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে অবৈধভাবে ২ হাজার বসতি নির্মাণ করতে যাচ্ছে ইসরায়েল।
মানবাধিকার সংস্থা পিসনাউ দাবি করেছে, ইতোমধ্যে বুধবার সাতশটি নতুন ইউনিটের চূড়ান্ত অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের এ ইহুদি রাষ্ট্র। বাকিগুলোর অনুমোদনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান বলেছিলেন, তিনি আশা করছেন, আড়াই হাজার বসতি নির্মাণের অনুমতি দেয়া হবে।
পিসনাউ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইসরাইলের অবৈধ বসতি নির্মাণ খুব দ্রুত বাড়ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের পর এই প্রথম কোনো অবৈধ বসতি নির্মাণের অনুমোদন এসেছে। জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ফিলিস্তিনিরা। গত ৩০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনিদের নিজেদের বসতবাড়িতে ফেরার বিক্ষোভের উত্তেজনার মধ্যে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ ওই বিক্ষোভে ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলিতে ১২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
১৯৪৮ সালে ইহুদি সশস্ত্রগোষ্ঠীর হামলায় সাড়ে সাত লাখ আরব অধিবাসী নিজেদের ভিটেমাটি থেকে বিতাড়িত হন। পার্শ্ববর্তী আরব দেশ, অধিকৃত পশ্চিমতীর ও অবরুদ্ধ গাজা এলাকায় এসব আরবরা শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।