দেশের খবর: নিরাপদ সড়ক ও দুই শিক্ষার্থীকে বাসচাপায় ‘হত্যার’ বিচারের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চতুর্থ দিনের মতো সড়ক অবরোধ করছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের সময় ৩০৯টি বাস ভাংচুরসহ আটটি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তবে এসব বাসের কাঁচ রাস্তা থেকে কারা সরাচ্ছেন?
বুধবার (১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকার রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে ফার্মগেট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরে ধানমন্ডির ২৭ নম্বর ফুটওভার ব্রিজের নিচে একটি বাস ভাংচুর করে আন্দোলনরত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আর সেই ভাঙ্গা গাড়ির কাঁচ সড়ক থেকে আবার তারাই পরিষ্কার করছেন। এমনই দুইটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে রাজধানীর হাউজবিল্ডিং সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এছাড়া দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এসময় বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করে।
উত্তরায় জসিমউদ্দিন রোড থেকে সব ধরণের যানবাহন ঘুরিয়ে বিমানবন্দর হয়ে মহাখালীর দিকে পাঠাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। যাত্রাবাড়ীতেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।
এদিকে বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে সজীব এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম নিহত হন।
এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পথচারীরা সঙ্গে সঙ্গে আহতদের নিকটস্থ কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে ভর্তি করা হয়।