স্বাস্থ্য ডেস্ক: সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে নিত্যদিনের জ্বরজারি হয়ে থাকে। আমাদের দেশে শ্বাসতন্ত্রের মৌসুমি সংক্রমণ থেকে শুরু করে গলাব্যথা, ডায়রিয়া, এমনকি ডেঙ্গু জ্বর ইত্যাদি অসুখের অন্যতম কারণ হলো নানা ধরনের ভাইরাস। এমনিতে শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে এসব আপনা-আপনি সেরে যায়। কোনো অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না।কেবল আমাদের দেশেই নয়, যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতিবছর ১০ লাখ ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায় অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে এ অবস্থা আরও ভয়াবহ। কেননা, এখানে কোনো ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক কেনা যায়। ভাইরাস সংক্রমণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে সেরে যায়। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া—দুই ধরনের জীবাণু। এ দুটোর সংক্রমণ সারানোর পদ্ধতিও আলাদা। ভাইরাস জ্বরের চিকিৎসা মূলত লক্ষণ প্রশমন, যেমন প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, বেশি করে তরল খাবার গ্রহণ ইত্যাদি। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হয়।জেনে নিন সাধারণ ভাইরাস জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারে কী হয়: অ্যান্টিবায়োটিকে এই সংক্রমণ সারে না। রোগের লক্ষণ প্রশমনেও অ্যান্টিবায়োটিক কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। এর অকারণ ব্যবহার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে থাকে। একই ওষুধে পরে আর কাজ হয় না। সাধারণ ভাইরাস জ্বর হলে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। এ জ্বর এমনিতেই সেরে যাবে। বিশ্রাম নিন। প্রচুর তরল পান করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, যদি জ্বর সাত দিনের বেশি থাকে, তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি হয়, কাশির সঙ্গে সবুজ বা হলুদ কফ বেরোয়, কফের সঙ্গে রক্ত যায় এবং শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট