নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী মো. আলাউদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা অবিলম্বে হামলাকারী যুবক খোরশেদ আলম রিপন ও তার সহযোগী হান্নানকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. হাসানুজ্জামান বলেন ঈদ উল আজহার নামাজ আদায়ের আগে হাওয়ালখালি গ্রামের রিপন ও হান্নান একই গ্রামের সমাজকর্মী আলাউদ্দিনকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় মুসুল্লিরা তাকে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন কিছুদিন আগে হাওয়ালখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাউদ্দিন নিজ খরচে একটি শহিদ মিনার তৈরি করে দেন। এই শহিদ মিনার তৈরির সময় এলাকার বখাটে যুবক খোরশেদ আলম রিপন তার কাছে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা চায়। তিনি তা দিতে অস্বীকার করায় রিপন ও তার লোকজন গভীর রাতে শহিদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলে। এ নিয়ে থানায় মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন এই মামলা করার কৈফিয়ত চেয়ে খোরশেদ আলম রিপন ও তার সহযোগী হান্নান এবার আলাউদ্দিনকে প্রকাশ্যে ঈদ জামাতের মাঠে মারধর করলো। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন রিপন একজন সন্ত্রাসী । জাতীয়তাবাদী যুবদলের বাঁশদহা ইউনিয়ন সেক্রেটারি হিসাবে সন্ত্রাস চালিয়ে এখন গা বাঁচাতে ভোল পাল্টে সে যুবলীগে যোগ দিয়েছে। দখল করেছে ইউপি যুবলীগের সেক্রেটারির পদ। রিপন কিছুদিন আগেও বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটূক্তি করতো। এখন তাদের ছবি টানিয়ে হঠাৎ আওয়ামী লীগ সেজেছে। তারা এই মুখোসধারী যুবলীগ নেতার শাস্তি দাবি করেন।
তবে দল পরিবর্তন ও হামলার বিষয়ে জানবার জন্য রিপনের কাছে শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।
মানববন্ধনে কমান্ডার হাসানুজ্জামানসহ আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছহিলউদ্দিন, মো. আবদুল মোমেন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. জিয়াদ আলি, মো. জাহাঙ্গির আলম, মো. আমিরুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আজিজুল হক ও প্রহৃত মো. আলাউদ্দিন।