নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দলে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঘেরের বাসা থেকে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের গলায় রশ্মি দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে পড়ে থাকা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্সের ছাত্র কমোলেশ বড়দল ইউনিয়নের নড়েরাবাদ গ্রামের রনজিৎ মন্ডলের পুত্র। কমোলেশের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, সে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কিছুক্ষন পরপর বাড়িতে আসা যাওয়া করলেও রাতের খাবার খায়নি এবং বাড়িতে ঘুমাইনি। বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে তার দিদিমা ও মা বাসায় গিয়ে বাসার আড়ার সাথে দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে অন্যদের খবর দেয়। কমোলেশের দাদা পরীক্ষিত মন্ডলেরর বক্তব্য তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে মঙ্গল বার ১১টা থেকে ১টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ ফুলে যাওয়াসহ লাশের গলা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে। প্রতিবেশিদের বক্তব্য কমোলেশের উচ্চতা ৫ ফিট ৬ ইঞ্চির মত কিন্তু বাসার উচ্চতা ৫ ফিটের মত তাহলে ঐ বাসায় কমোলেশ কিভাবে গলায় রশ্মি দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। একাধিক সূত্র প্রতিবেদককে জানিয়েছে, কমোলেশ মন্ডল, পয়তাল শীল ও কৃষ্ণ তিন জন মিলে বামনডাংগা গ্রামের জগদিশ সানাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পয়তাল শীল তাদের পরিকল্পনার কথা মোবাইলের রেকর্ড করে জগদিশের কাছে প্রকাশ করে দেয়। দুই দিন আগে জগদিশের বাড়িতে বসে সেটার মিমাংশাও হয়ে যায়। জগদিশ সানা জানান, তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা সত্য। মোবাইলের রেকর্ডিং তিনি নিজে শুনেছেন। তিনি আরও জানান এলাকার ছেলেরা বিধায় বিষয়টি তিনি মাফ করে দিয়েছেন। আশাশুনি থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন।