বিদেশের খবর: সাতজন যাত্রীসহ মধ্য নেপালের পাহাড়ি এলাকায় আছড়ে পড়ল একটি হেলিকপ্টার। শনিবার দুপুরেই কন্ট্রোল রুমের সংযোগ হারিয়ে ফেলে এই কপ্টারটি ও তারপরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পাইলট ও যাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন একজন জাপানি পর্বতারোহীও। এখনও পর্যন্ত যাত্রীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। নেপালের গোর্খা জেলা থেকে যাত্রা করেছিল কপ্টারটি।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজ কুমার ছেত্রী জানিয়েছেন, ধাড়িং জেলার পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া গেছে। খারাপ আবহাওয়া থাকার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দলের পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ছেত্রী।
নেপালের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রয়েছে বেসরকারি হেলিকপ্টার শিল্পের। হিমালয়ের বিভিন্ন যাত্রী পরিবহণ করে থাকে এই হেলিকপ্টারগুলো। তবে সাম্প্রতিককালে দুর্বল প্রশিক্ষণ ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নেপালের বিমান সুরক্ষার অবস্থা একদমই ভালো নয়।
২০১৬ সালেও উত্তর কাঠমাণ্ডুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ৭ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে ভূমিকম্পের পরেও একাধিকবার বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন বহু মানুষ। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার স্বার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিষিদ্ধ নেপালী বিমান।
এছাড়া চলতি বছরের মার্চে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৮ বাংলাদেশি নাগরিকসহ মোট ৫১ জন নিহত হন।
নেপালের পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা; যাত্রী নিখোঁজ
পূর্ববর্তী পোস্ট