দেশের খবর: বস্ত্র শিল্পের বিকাশের কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিশাল জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান হয়েছে বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের। আর্ন্তজাতিক মেলার মাধ্যমে এধরনের শিল্পের আরও প্রসার ঘটবে ফলশ্রুতিতে দক্ষ মানবশক্তি বৃদ্ধি পাবে। বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের অর্জন জাতির জন্য অনুপ্রেরণা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কনফারেন্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিঃ এবং সেমস্ গ্লোবাল এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘১৯তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৮’, ‘১৪তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন এন্ড ফেব্রিক শো-২০১৮’ এবং ‘৩৩তম ডাই-ক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৮’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এর প্রেসিডেন্ট রুদ্র চ্যাটার্জি।
স্পিকার বলেন, সরকার গার্মেন্ট শিল্পকে উৎসাহিত করে নীতিমালা প্রণয়নসহ কর্মপরিকল্পনা ও কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করেছে। ফলে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ২০০০০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়নে ফলে শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি বিগত দশ বছরে দারিদ্র হার ৪০শতাংশ থেকে ২২শতাংশে নেমে এসেছে। গার্মেন্টস শিল্প জিডিপি’তে ১৫শতাংশ অবদান রাখছে এবং প্রতিবছর ৩০বিলিয়ন ইউএস ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সে কারণে পোশাক রপ্তানীতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের প্রসারে সরকার কার্যকর সহায়তা করছে যা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। নির্ধারিত তিনটি ক্যাটাগরির মানদন্ডের ক্রমধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৪সালের মধ্যে পরিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশে হবে।
তিনি ২০৪১সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের উন্নয়নে কারিগরী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকল ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের একযোগে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
পোশাক শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে বাংলাদেশে
পূর্ববর্তী পোস্ট