অনলাইন ডেস্ক:
ত্বকের জৌলুস ফেরে
ফেসিয়ালের মূল কাজ হলো ত্বক পরিষ্কার এবং ময়েশ্চার সরবরাহ করা। এতে করে ত্বকের হারানো সতেজতা ফিরে আসে। অনেক ফেসিয়ালে ‘এক্সফোলিয়েশন’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। এতে নতুন কোষ জন্মে এবং ত্বকের পুরনোভাবে দূরীভূত হয়। আবার পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ময়েশ্চারাইজার ত্বকে প্রবেশ করে। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্য ফিরে আসে। যদি এই জিনিসগুলো ফেসিয়ালে মেলে, তবে এটা যে খারাপ তা বলা যায় না।
দাগ ও পিম্পল চলে যায়
ফেসিয়ালে ত্বকের দাগ চলে যায়। আবার পিম্পলের সমস্যা থাকলে তাও কমে আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকে ময়লা থাকলে পিম্পল দেখা দেয়। আর ফেসিয়াল ত্বকে সব ময়লা ধুয়ে সাফ করে। ফেসিয়ালের সময় স্টিম করা হয়। এতে লোমকূপের গোড়া উন্মোচিত হয়। সেখানে জমে থাকা ময়লা সাফ হয়।
কিছু ফেসিয়াল ভয়ংকর
নানা ধরনের ফেসিয়াল আছে। এর মধ্যে কিছু সত্যিকার অর্থেই ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন-একটির নাম ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল। এ কাজে অতিক্ষুদ্র সুঁচ ব্যবহৃত হয়। এগুলো দিয়ে মুখ বা দেহের ত্বক থেকে দূষিত রক্ত বের করে দেয়া হয়। এ কাজে যদি সুঁচগুলোকে শতভাগ জীবাণুমুক্ত করে না নেয়া হয়, তো সর্বনাশ ঘটে যেতে পারে। এইচআইভি কিংবা হেপাটাইটিসের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
খরচ বেশি
ফেসিয়ালে কিছু উপকার মেলে। কিন্তু যা পেলেন তা পেতে খরচটা বেশি হলো কি? সাধারণত মধ্যমমানের কোনো সেলুন বা পার্লারে ফেসিয়াল করতে যা খরচ পড়ে, বিনিময়ে যথেষ্ট মেলে কিনা তা জানা দরকার। এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে ফেসিয়াল করতে অনেক খরচ পড়ে। আবার গুণগতমান অনেক ভালো বলে খরচ বেশি নেয়া হয়। অনেকের মতে, খরচের তুলনায় ফেসিয়াল থেকে তেমন কিছুই মেলে না।