নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডাঃ মোখলেছুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমন, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক লায়লা পারভীন সেজুতি, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আফিস শাহবাজ খান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক, আধুনিক সাতক্ষীরার উন্নয়নের অন্যতম রূপকার, সাতক্ষীরা-০৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এর বিরুদ্ধে কতিপয় নামপরিচয়হীন ব্যক্তি মিথ্যা, বানোয়াট, কুরূচিপূর্ণ মিথ্যাচার করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সন্নিকটে একটি বিচ্ছিন্ন মানববন্ধন করেছে। কথিত মানববন্ধনে জনা বিশেক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে মাত্র ২/১ জন পরিচিত মুখের বাইরে অধিকাংশেরই কোন নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এমনকি মানববন্ধনে যে লিখিত বক্তব্য সরবরাহ করা হয়েছিল সেখানেও কারও কোন নাম-পরিচয় বা স্বাক্ষর নেই।
আমরা মনে করি, ডা. রুহুল হক এমপির জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাণি¦ত হয়ে কোন মনোনয়ন প্রত্যাশী চক্র তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কুৎসা রটনার চেষ্টা চালাচ্ছে। আপনাদের কারও অজানা নয় যে, ডা. আ ফ ম রুহুল হক একজন বিশ্ববরেণ্য চিকিৎসক। তিনি ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ(স্বাচিপ)’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়পন জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন। ২০০৮ সাল থেকে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা থেকে একমাত্র তিনিই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টাম-লীর সদস্য হিসেবে রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটিরও সভাপতি। তিনি ৫ বছর সফলতার সাথে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের এমডিজিসহ বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেতে সাহায্য করেছেন। বর্তমানে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিরও সভাপতি। সম্প্রতি জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মনোনীত করেছেন। ডা. আ ফ ম রুহুল হকের হাত ধরে সাতক্ষীরাতে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি সাতক্ষীরায় অসংখ্য উন্নয়নমূলক কর্মকা- সম্পন্ন করেছেন এবং করছেন। আমরা মনে করি, ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি সাতক্ষীরার সম্পদ। সাতক্ষীরার উন্নয়নে এবং সাতক্ষীরাকে জাতীয় পর্যায়ে উপস্থাপনে তিনি তার চিকিৎসক জীবনে এবং রাজনৈতিক জীবনে উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমরা মনে করি, যারা ডা. তাকে নিয়ে কুৎসা রটনা করছেন তারা সাতক্ষীরার শক্র, সাতক্ষীরার উন্নয়নের শক্র। সাতক্ষীরার উন্নয়নের জন্য যাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেই ডা. রুহুল হক এমপিকে অসম্মানিত করা বা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের চেষ্টা সাতক্ষীরাবাসী মেনে নেবে না। তিনি আরো বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা প্রেসক্লাবের সন্নিকটে যে কথিত মানববন্ধনটি হয়েছিল তার কোন ছবি কোন সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। সেই মানববন্ধনের কিছু ছবি আমাদের হাতে রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, হাতেগোনা কিছু যুবক ডা. আ ফ ম রুহুল হক সম্পর্কে কুরূচিকর বক্তব্য সম্বলিত একটি ব্যানার ও কিছু প্লাকার্ড ধরে আছে। ছবি তোলার সময় প্রতিবারই অধিকাংশ যুবক প্লাকার্ড দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছে। এতে বোঝা যায়, এটি কোন স্বতঃস্ফূর্ত কর্মসূচি ছিল না। এটি কোন বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে বা প্রযোজনায় মঞ্চস্থ করা হয়েছে। এধরনের কূট কৌশল অসুস্থ মানসিকতার পরিচায়ক।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দেশের প্রচীনতম এবং বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন। এখানে বহু নেতা আছেন, কর্মী আছেন, বিশিষ্ট জনেরা আছেন। বহু নেতা আসবেন, যাবেন। দলে মনোনয়ন ও নেতৃত্বের জন্য প্রতিযোগিতা থাকবে। এখানে নেতৃত্ব দিতে হলে বা বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে হলে রাজনীতির মাঠে বিচরণ করতে হবে, দলের নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করতে হবে, তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে হবে। দলের প্রতিষ্ঠিত প্রবীণ নেতাদের চরিত্র হননের অপচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শুভাকাক্সক্ষী নন। তারা বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশকে অমান্য করে আওয়ামীলীগের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তা আমরা বরদাস্ত করব না।
এদিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, উপজেলা আওয়ামীলীগসহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংঠগনের নেতৃত্বে সমন্বয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আজকে কয়েকটি পত্রিকায় ডা: রুহুল হকের মনোনয়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছি মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তা আদৌ সত্য নয়। আমার মানববন্ধন করেছি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে। এছাড়া ওই মানববন্ধনটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি মহল সাংবাদিক লাঞ্চিতের গুজব ছড়িয়ে দু একটি অন লাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করেছে। আসলে সেখানে এধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। ওই ষড়যন্ত্রকারীরা কিছু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে এধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে। আমরা সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির বিরুদ্ধে এ ধরনের ঘৃণ্য অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পূর্ববর্তী পোস্ট