বিদেশের খবর: রাশিয়া-চীনের পর এবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের যুগে প্রবেশ করছে অন্যতম পরাশক্তির দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শিগগির তাদের অস্ত্রাগারে মহাকাশের এ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটি যোগ করা হবে বলে অঙ্গীকার করেছেন দেশটির ডেপুটি সেক্রেটারি অব ডিফেন্স প্যাথ্রিক শানাহান।
তিনি বলেছেন, হাইপারসনিক যোগ করছি আমাদের অস্ত্রাগারে। আর সেটা খুব শিগগির। যে সময় লাগবে আশা করেছিল মানুষ, তার আগেই।
বুধবার (০৩ অক্টোবর ২০১৮) দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা খুব দ্রুত হাইপারসনিক নিয়ে মহাকাশে উড়তে যাচ্ছি এবং যা মানুষের প্রত্যাশার তুলনায় বেশি আধুনিকও হবে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণা রাশিয়া এবং চীনের মনোযোগের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। যদিও তাদের হাইপারসনিক প্রোগ্রামের উন্নয়ন হয়েছে আগেই।
সাধারণত, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ঘণ্টায় তিন হাজার ৮০০ মাইলের বেশি গতিতে চলে। যা শব্দের গতির তুলনায় কমপক্ষে পাঁচগুণ বেশি।
এর আগে গত ৩ আগস্ট এশিয়া দেশ চীন মহাকাশে প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে তাদের প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। বলা হয়েছিল ‘স্টাররি স্কাই-২’ নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি নীরবে-নিঃশব্দে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।
এরও আগে মার্চে সর্বপ্রথম রাশিয়া বিশ্বের সর্বাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কিনঝালের’ সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল।
পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন- হাইপারসনিক ক্ষেপাণাস্ত্র প্রতিযোগিতায় রাশিয়া অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ১৫ বছর এগিয়ে থাকবে। কেননা, রাশিয়া ১০টি অত্যাধুনিক হাইপারসনিক মারণাস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
তার মধ্যে কিনঝালটি তোপোলেভ টিইউ-২২২এম৩ বোম্বার বহন করে অত্যাধিক দূরগতির সঙ্গে। যা বিশ্বের ইতিহাসে সর্বাধিক শক্তি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া এটির গতি শব্দের গতির চেয়ে আটগুণ বেশি। সেইসঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রটি মুহূর্তেই গতি পাল্টিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে সক্ষম।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের যুগে প্রবেশ করছে যুক্তরাষ্ট্রও
পূর্ববর্তী পোস্ট