সেলিম হোসেন :
চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা। কোথাও চাল চামড়া উঠে নিচের মাটি পর্যন্ত বেরিয়ে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দকে। আবার কোথাও সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের অবৈধ স্থাপনা। একদিকে সড়কের বেহাল দশা অন্যদিকে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সাতক্ষীরা শহরের ওইসব রাস্তায় বাস ট্রাক তো দূরের কথা হেঁটে চলাচল করাও চরম বিপদজনক হয়ে পড়েছে। এ কারণে সাতক্ষীরা পৌরবাসী হাফিয়ে উঠেছেন। চরম ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে পৌর এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। এবিষয়ে সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃকপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট মহলকে বার বার অবগত করেও তেমন কোন ফলপাননি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরা পৌরসভায় কার্পেটিং বিসি ১৭৮.০৪ কিলোমিটার, সিসি/আরসিসি ৯.৭৫ কিলোমিটার, ডব্লিউবিএম ১২.১২ কিলোমিটার, এইচবিবি ৬.০৮ কিলোমিটার, সোলিং ৪৩.০৭ কিলোমিটার ও কাচা রাস্তা ৪৪.৩৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৫ ভাগ রাস্তা ভাল, মোটামুটি ভাল ৩২ ভাগ, খারাপ অবস্থানে আছে ৪৩ ভাগ রাস্তা।
অথচ বাস্তবে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫ ভাগ রাস্তাও ভালো নেই বলে দাবি করেছেন সাতক্ষীরার নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ।
কামালনগর জামে মসজিদের ইমাম মাহবুবুর রহমান জানান, এলাকার মানুষ অনেক কষ্টের মধ্যদিয়ে এসব জরাজীর্ণ রাস্তাটি দিয়ে চলাফেরা করে। রাস্তাগুলো সংস্কার করা হলে জনভোগান্তি কমে যাবে।
বদ্দীপুর এলাকার ভ্যান চালক ফজর আলী বলেন, আমি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এ এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বদ্দীপুর হতে পুরাতন সাতক্ষীরা সংযোগ সড়ক। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপরে পানি উঠে যায়। পানি নেমে যাওয়ার পর রাস্তাটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। যে কারণে আমি ভ্যান চালাতে পারিনে। ফলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
এ বিষয় নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার দু একটি রাস্তা বাদে প্রায় সবগুলো রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী। পৌরকতৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ^াস দিয়েই ক্ষ্যান্ত। তিনি অবিলম্বে রাস্তাগুলোর সংস্কার দাবি করেন।
এব্যাপারে পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী বলেন, এলজিইডি প্রকল্পের ৫টি রাস্তার বাজেট হয়েছিল। এর মধ্যে সার্কিট হাউজ মোড় থেকে কাথন্ডা বাজার, নারিকেলতলা থেকে থানাঘাটা, বাগানবাড়ির রাস্তা, বদ্দীপুর কলোনির রাস্তা এবং পিএন স্কুলের সামনে দিয়ে ফিংড়ীর রাস্তা। ফিংড়ীর রাস্তা ইতিমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। ফান্ডে টাকা না থাকায় বাকী রাস্তাগুলো সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।
চলাচলের অনুপযোগী সাতক্ষীরা পৌর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা
পূর্ববর্তী পোস্ট