মেহেদী সোহাগ :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন ও সহপাঠী মমতাজ আহম্মেদ ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক ত্যাগী ও সদালাপী ব্যক্তি। তিনি শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসাবে এলাকায় ব্যাপক প্রশাংসা অর্জন করেছেন। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা তথা কলারোয়াবাসী হারিয়েছে এক মহান রাজনীতিবিদ সমাজ সংস্কারক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিকে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন দেশপ্রেমিক সংগঠককে। এই কথাগুলি বলেন-সাতক্ষীরা জেলা এনটিভি ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী। শনিবার দুপুরে কলারোয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সহপাঠি ও ঘনিষ্ট সহচর সাবেক এমএলএ মমতাজ আহম্মেদের ৫র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলারোয়ার এই কৃতি সন্তানের জন্মভিটা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিবেদিত এই আ.লীগ নেতার স্মরণ সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন-জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা এনটিভি ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুর, কলারোয়া সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর, উপজেলা ওয়ার্কাস পাটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, আলহাজ্ব আনিস উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক, মমতাজ আহম্মেদ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও শিশু পার্কের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমএ ফারুক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী গাজী, আলহাজ্ব খায়বার হোসেন, প্রধান শিক্ষক শ্রী মধু সুদন পাল, প্রভাষক আলতাফ হোসেন, প্রফেসর আবুল খায়ের, অধ্যক্ষ আবির হোসেন, হোমিও প্যথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ আঃ বারি, প্রধান শিক্ষক বদরুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, কলারোয়া রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু প্রমুখ। এ সময় অতিথিদের ‘মমতাজ আহম্মেদ স্মৃতি পদক ২০১৮’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে এমএলএ মমতাজ আহম্মেদের বিভিন্ন স্মৃতি চারণ করেন। মরহুমের জ্যেষ্ঠ্যপুত্র বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ অধ্যক্ষ এমএ ফারুকের সভাপতিত্বে স্মরণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন-সাতক্ষীরার জজ কোর্টের আইনজীবি এ্যাড. কাজী আব্দুল্লাহ আল হাবিব। পরে শেখ হাসিনার অনুদানে নির্মিত ৫০ লক্ষ টাকার স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।