শ্যামনগর প্রতিনিধি: বিল রিডাররা অফিসে বসেই মিটার দেখেন অথবা দায়সারা মিটার রিডিং দেখে যান সমিতির রিডাররা। সেই সঙ্গে মনগড়া বিল প্রস্তুত করে গ্রাহকদের তা পরিশোধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভোগান্তি কমছে না গ্রাহকদের। অনেকের অভিযোগ, বিল রিডারদের স্বেচ্ছাচারিতায় বিশেষ করে বাড়ির মালিকদের নানা রকম ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শ্যামনগর সদরের বাদঘাটা সহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিল রিডাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার না দেখে দু এক জনের বাড়িতে ঢুকে মিটার দেখছেন এবং সবার বাড়িতে ঢুকে মিটার না দেখে ইচ্ছে মতো বিদুত্যের ইউনিট ব্যবহার দেখিয়ে মনগড়া বিল তৈরি করে তা পরিশোধের জন্য গ্রাহকদের দেন। এতে করে কোন মাসে বিদ্যুৎ বিল খুবই কম আসছে আবার কোন মাসে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে। তবে গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যখন মিটারের প্রদর্শনকৃত ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে বিদ্যুৎ বিলে কয়েকগুণ বেশি উল্লেখ করা হচ্ছে। মনগড়া বিল নিয়ে ভোগান্তির শিকার সদরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভদ্র মহিলা বলেন,“প্রতিমাসেই মিটারে ব্যবহৃত ইউনিটের তুলনায় অতিরিক্ত ইউনিট দেখিয়ে বিল দেয়া হয়। কয়েক বার সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অতিরিক্ত ইউনিট কমানোর অনুরোধ জানালেও তারা কথা শোনেননি। তিনি বলেন, নিরুপায় হয়ে বিল দিয়ে যাচ্ছি। মূলত বিল রিডারদের খামখেয়ালীপনার জন্য গ্রাহকরা এরকম নানা রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন”। মাহমুদপুর গ্রামের অজয় সাহা জানান “তার বাড়ির পাশে এক আত্মিয় বাড়িতে না থাকলেও তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫৪০ টাকা অথচ সারা মাস তারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করিনি এবং যেহেতু তাদের বাড়ির গেট বন্ধ ছিল এমতাবস্থায় কিভাবে রিডাররা মিটার দেখল আর বিল তৈরি করল বুঝতে পারছিনা বলে জানান তিনি”। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্যামনগর অফিস ইনচার্জ এর মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি কালিগঞ্জ অভিযোগ কেন্দ্রে কথা বলতে বলেন। কালিগঞ্জ অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করলে ফোন রিসিভ হইনি। তাই বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে গ্রাহক হয়রানি বন্ধের দাবি জানান এলাকার মানুষেরা।
পূর্ববর্তী পোস্ট