বিদেশের খবর: আগাম নির্বাচন ঠেকানোর জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সবশেষ রবিবার অর্থমন্ত্রী মোসে কাহলোনের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। ক্ষমতাসীন জোট সরকার রক্ষা করতে কাহলোনের কুলানু পার্টি শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। খবর বিবিসির।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের পর ইসরায়েলি সৃষ্ট হয় রাজনৈতিক সংকট। ক্ষমতাসীন জোট রক্ষায় শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ও অপর একটি প্রতিদ্বন্দ্বি জোটের মধ্যকার বৈঠক কোনও চুক্তি ছাড়া শেষ হয়। এরপরই মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠক ঘিরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কথা আলোচিত হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, শুক্রবারের ওই বৈঠকে নিজেকে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগ না দেওয়া হলে হাবাইত হায়েহুতি পার্টির নেতা নাফতালি বেন্নেত সরকার থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দেন।
১৪ নভেম্বর গাজা উপত্যকায় তুমুল লড়াইয়ের পর হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির জের ধরে পদত্যাগ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাভিগডর লাইবারম্যান। জোট থেকে লাইবারম্যান ও তার দল ইসারায়িল বেইতিয়ুনু পার্টির পদত্যাগের পর পার্লামেন্ট নেসেটে এক মাত্র আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সরকারের নেতা হয়ে পড়েন নেতানিয়াহু।
অর্থমন্ত্রী কাহলোনও বলেছেন, ক্ষমতাসীন জোট কার্যকর থাকবে বলে মনে করেন না তিনি। তবে বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আইন অনুযায়ী ২০১৯ সালের নভেম্বরের আগে নির্বাচন হওয়ার কথা নয়।
ইসরায়েলের বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে। জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় দলগুলোর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা জোট সরকার গঠন করে। জোটের দলগুলোর অনেকেই ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে কঠোর মনোভার পোষণ করে। দখলদারিত্বের পক্ষেও তাদের ভূমিকা জোরালো।
ইসরায়েলের সব সরকারই জোটগতভাবে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে। কারণ দেশটির সাংবিধানিক ব্যবস্থা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বকেই স্বীকৃতি দেয়। ফেলে কোনও একক দল সরকার গঠন করতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগাম নির্বাচন না চাইলেও সাম্প্রতিক জরিপগুলো বলেছে মন্ত্রীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে জনপ্রিয়। তার দল লিকুদ পার্টিও সবচেয়ে জনিপ্রিয় দল।