শ্যামনগর প্রতিনিধি: ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর নুর কম্পিউটার মার্কেটে মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি অফিসে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভাব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চেক, নগদ অর্থ ও পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিবুর রহমান।
ভাব বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম. এ. আলিম খানের সভাপতিত্বে ৫টি স্কুলকে ফার্ণিচার, ১টি স্কুলে ফ্যান, ১টি স্কুলে সেলাই মেশিন, ৩টি বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও খেলাধূলায় অংশগ্রহণের যাতায়াত খরচ বাবদ মোট ১০৬,৪০০ টাকার হাজার চেক এবং নগদ ১০,০০০ টাকা প্রদান করেন। চেক গ্রহণ করেন চিংড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি শ্যামনগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়দেব বিশ্বাস, কাঁঠালবাড়ীয়া এ.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম, হেঞ্চি বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ লুৎফুল আলম, কলবাড়ি নেকজানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিবাশীষ মন্ডল, ছফিরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলী, ত্রিপানি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম মল্লিক শওকতনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
এছাড়া ঢাকা ও খুলনায় বিতর্কে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের শুভেচ্ছা পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জোবেদা সোহরাব মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, রমজাননগর ইউনিয়ন তোফাজ্জেল বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান, ঈশ্বরীপুর এ. সোহবান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহিন উদ্দিন, শিক্ষক ও সাংবাদিক রনজিৎ বর্মন, সকালের আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল আলিম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে ভাব বাংলাদেশ ৫টি বিদ্যালয়ে ফার্নিচার এবং একটি বিদ্যালয়ে সেলাই মেশিন ক্রয় বাবদ ৮৪,০০০টাকার চেক দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মিনা হাবিবুর রহমান প্রধান শিক্ষকদের বলেন, ভাব বাংলাদেশের কার্যক্রম অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
ভাব বাংলাদেশে সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম. এ. আলিম খান প্রধান শিক্ষকদের আসন্ন প্রোগ্রাম সম্পর্কে অবগত করেন এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছরে শ্যামনগরে রমজাননগর ইউনিয়ন তোফাজ্জেল বিদ্যাপীঠে বুয়েটের ৬৬ ফাউন্ডেশনের স্পন্সরে প্রফেশনাল কম্পিউটার প্রশিক্ষণ চালু হবে। যেখানে ১৫-২০ জন ঝরে পড়া শিক্ষার্থী কম্পিউটারে বিশেষ প্রশিক্ষণ পাবে।’