শ্যামনগর ব্যুরো: যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামীর মারপিটে গুরুতর আহত হয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আহত নুরজাহান খাতুন(৩০)। জানাগেছে, শ্যামনগরের হাওয়াল ভাঙ্গী গ্রামের হাজী মতিয়ার রহমান সরদারের মেয়ে নুরজাহান খাতুন এর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলা বেনাদনা গ্রামের হোসেন আলী বিশ্বাসের পুত্র জালাল উদ্দিনের সাথে সামাজিক ভাবে ৬/৭ বৎসর পূর্বে বিবাহ হয়। গত ২৪ জানুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে বেনাদনার নিজ বাড়িতে জালাল উদ্দীন তার স্ত্রী নুরজাহান খাতুনকে যৌতুকের জন্য ব্যাপক কিল, ঘুষি, ঝাটা ও লাঠি দ্বারা মারপিট করে রক্তাক্ত ও জখম করে। স্থানীয়রা নুরজাহানকে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করালে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সাতক্ষীরায় সিটি স্ক্যান করতে পাঠানো হয়। জালাল উদ্দীনের ১ম স্ত্রী মোমিন বিশ্বাস এর মেয়ে রুবিনাকে যৌতুকের জন্য তালাক দিলে এ ঘটনার মামলায় জালাল জেল খাটে এবং মামলা চলমান রয়েছে। যৌতুক ও নারী লোভী জালালের ২য় স্ত্রী নুরজাহান খাতুনের গর্ভের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। জালাল বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে যৌতুকের জন্য তার শ্বশুর হাজী মতিয়ার রহমান সরদারের নিকট থেকে বিভিন্ন সময়ে ধান বিক্রয়কৃত ও ২ বিঘা জমি বিক্রয়কৃত নগদ ৭ লক্ষ টাকা দফায় দফায় নিয়ে নেয়। এ ছাড়া জালাল দালানের ছাদ বাবদ ১ লক্ষ ও ঘরের দরজা জানালা বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করলে ২ সন্তানের জননী নুরজাহান অতি কষ্টে তার পিতার কাছ থেকে নিয়ে দেয়। ইতিপূর্বে জালাল উদ্দীন তার স্ত্রী নুরজাহানকে যৌতুকের জন্য মারপিট করে এবং তাকে হত্যার চেষ্টায় ছাদের উপর থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে সালিশী বৈঠকে জালালকে তিরষ্কার ও ভৎর্সনা করা হয়। জালাল ক্ষমা চেয়ে ও মুচলিকা দিয়ে রেহাই পায়। বর্তমান জালালের এ ধরনের কর্মকান্ডে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ২ সন্তানের জননী নুরজাহান খাতুন যৌতুক ছাড়াই সামাজিকভাবে বাঁচতে চায়। জালাল উদ্দীন মারপিটের ঘটনা স্বীকার করলেও অন্যান্য বিষয় অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে নুরজাহানের পিতা হাজী মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট