দেশের খবর: গণফোরামের হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী দুজনকে সংসদে পাঠানোর বিষয়ে দলটির ইতিবাচকভাবে চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি, কিন্তু এমন নির্বাচনের মধ্যেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাদের দুই প্রার্থী যেভাবে সফল হয়েছেন তা তাদের বিরাট অর্জন। তাই তাদের সংসদে পাঠানোর বিষয়ে আমরা ইতিবাচকভাবে চিন্তাভাবনা করছি।’ বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে এক বর্ধিতসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল এসব কথা বলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন মনে করেন, তাঁদের দলের দুই সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে যোগ দিলে তা নিয়ে জোট সঙ্গী বিএনপির সঙ্গে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হবে না। যদিও বিএনপি সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
ড. কামাল বলেন, তাদের দুই সংসদ সদস্য শপথ নেওয়ার পর সংসদে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তবে তিনি আরো জানান, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অটুট থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ভোট জালিয়াতির গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁরা নির্বাচন নিয়ে আদালতে যেতে পারেন।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও জাতীয় ঐকফ্রন্টের প্রার্থীরা সাতটি আসনে জয়ী হন। এর মধ্যে গণফোরামের হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে মৌলভীবাজার-২ আসনে নির্বাচিত হন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। সিলেট-২ আসনে গণফোরামের দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে জয়ী হন মোকাব্বির খান। ওই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। ভোটগ্রহণের কিছুদিন আগে আদালতের নির্দেশে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হলে বিএনপি ওই আসনে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানকে সমর্থন দেয়।