নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়নের সেকেন্দ্রা মোড়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত কবর স্থান ও সড়ক জনপদ বিভাগের জমি দখল করে অবৈধ ভাবে দোকান ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক ভাবে সরকারি জমি দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করলে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সেটি সাময়িক বন্ধ হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে,সেকেন্দ্রা ঈদগা ময়দানের পাশে একটি সরকারি জমিতে পাকা কংক্রিটের ঘর নির্মান চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের বাধার সৃষ্টি করলেও পুরোদমে প্রভাব খাটিয়ে কাজ করে যাচ্ছে মেম্বার সাহেব আলী। এবিষয়ে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, সাহেব আলীর এলাকায় মুখ খুলতে ভয় পায় অনেকেই। তারা বলেন, ঐ জায়গাতে ৩টি আম ও অন্যান্য সরকারি গাছ ছিল। কিছু দিন আগে সে প্রভাব খাটিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলছিল। সে ঘটনা জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা করে। কিন্তু কয়দিন যেতে না যেতে চুপিসারে গাছ কেটে জায়গা ফাঁকা করে ফেলে মেম্বার সাহেব আলী। তারই জের ধরে ইটবালি এনে পাকা ঘর নির্মানের কাজ শুরু করেছে। জনপ্রতিনিধির হয়ে সরকারি সম্পদ রক্ষার পরিবর্তে দখল করার ঘটনায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য সাহেব আলী জানান, আমি টাকা দিয়ে জায়গা কিনেছি তাই কেনা জায়গায় ঘর তৈরী করছি। তাতে কারো অনুমতি নেওয়ার কি দরকার। তাছাড়া আমার কেনা জায়গায় আমি কি করব সেটা আমার বিষয়। তবে সরকারি জমি কি ভাবে ক্রয় করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি অফিস আর একটা দোকান ঘর তৈরী করব। আমার কোন দোষ নেই যারা বিক্রি করেছে তারা দোষি। আমাকে ক্ষমা করেন।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি উজ্জল মৈত্র জানান, সরকারি জমিতে ঘর তৈরী করা হচ্ছে এমন অভিযোগে নির্মান কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে নির্মান কাজ স্থাগিত রাখার জন্য সাহেব আলী বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। সরকারি জমি দখলকারী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।