নিজস্ব প্রতিবেদক : মাত্র ৫মিনিটের টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে সাতক্ষীরার কলারোয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার সকালে ঘুর্ণিঝড় টর্নেডোর আঘাতে কলারোয়ার ১২টি ইউনিয়নের প্রায় সব কয়টি এলাকা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টর্নেডোর আঘাতে উপড়ে গেছে বড় বড় গাছ। ভেঙে গেছে বাড়িঘর। উড়ে গেছে ঘরের চাল। এছাড়া গাছের ডালপালা ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। টর্নেডোর পরপরই গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে অসহনীয় দুর্ভোগ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতশত বাড়িঘর।
এছাড়া প্রচন্ডঝড় ও শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়ে জামশেদ আলী (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে চন্দনপুর কলারোয়া সড়কে এ ঘটনাটি ঘটে। জামশেদ আলী কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের খাসপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, জামশেদ আলী কলারোয়ার দিকে হেটে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রচন্ড ঝড়ের সাতে শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়ে যান তিনি। তিনি পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেননি। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
কলারোয়া বাজারের ব্যবসায়ি আজহারুল ইসলাম বলেন, ৫মিনিটের ঘুর্ণিঝড়ে তার দোকানের চাল উড়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তিনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বলেন, টর্নেডোর আঘাতে উড়ে গেছে স্কুলের চাল। এতে করে শ্রেণিকক্ষ এখন খোলা আকাশের নিচে। ক্লাস বন্ধ রয়েছে স্কুলটিতে। দিনভর গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে উপজেলাসহ এলাকায় ব্যাপক দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
কয়লা এলাকা থেকে রাণী ব্রিক্সের মালিক কামরুল ইসলাম সাজু জানান, ইটভাটার কাচা ইটের একটিও আস্ত নেই। সব ইট গলে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে জানান তারা।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, বয়স্ক মানুষ ঝড়ের মধ্যে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেননি। তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ কলারোয়া ॥ এক বৃদ্ধার মৃত্যু
পূর্ববর্তী পোস্ট