বাচ্চার সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য বাবা মায়ের পাশাপাশি দাদা-দাদি, নানা-নানির সাহচর্য অত্যন্ত জরুরি। আগেকার দিনে বাচ্চারা বেশিরভাগ যৌথ পরিবারে বেড়ে উঠত। তবে সেই দিন এখন পাল্টেছে। বেশিরভাগ বাচ্চারা তাদের দাদা-দাদি, নানা-নানি থেকে দূরে থেকেই বেড়ে উঠছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দাদা-দাদি, নানা-নানি বাড়িতে থাকা মানে শুধু যে আপনি নিশ্চিন্ত হয়ে বাচ্চার দায়িত্ব তাদের হাতে ছাড়তে পারেন তাই নয়, তারা আপনার বাচ্চার সবরকম খেয়াল রাখেন, যত্ন করেন। তাদের কাছ থেকে একটা ছোট ছেলে বা মেয়ে তার পারিবারিক ইতিহাস জানতে পারে। যা বড় হয়ে তাদের মানসিকতা গড়ে তোলার কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের পারিবারিক ইতিহাস তাকে নিজেকে চিনতে শেখাবে, নিজের শিকড় খুঁজতে শেখাবে।
এছাড়া ন্যায়-নীতি, সামাজিক মূল্যবোধ এবং আবেগের প্রথম পাঠ বাচ্চারা দাদা-দাদিদের কাছ থেকেই পায়। বাবা-মা যখন হাজার কাজে ব্যস্ত থাকেন, তখন তারাই নাতি-নাতনির কাছে বন্ধুর মতো মিশে তাদের মনের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া দাদা-দাদি, নানা-নানির সঙ্গে সময় কাটালে বাচ্চারা বয়স্কদের সম্মান করতে শিখবে, তাদের খেয়াল রাখতে শিখবে।
নাতি-নাতনির সঙ্গে সময় কাটাতে পারলেও দাদু-ঠাকুমাও বয়সজনিত অবসাদের গ্রাসে পড়বেন না। একাকিত্ব থেকে এই অবসাদের জন্ম হয়। নাতি-নাতনির সঙ্গ তাদের একা বোধ করতে দেবে না।