দেশের খবর: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হকের অপসারণ দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চলছে।
বুধবার শুরু হওয়া অনশন কর্মসূচিতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শিক্ষকসহ ১৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে দুজন শিক্ষক ও ৩ জন শিক্ষার্থীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা তিন শিক্ষার্থী হলেন- লোক প্রশাসন ষষ্ঠ ব্যাচের ছাত্র মারুফ, অর্থনীতি ষষ্ঠ ব্যাচের রাদেশ ও বোটানিক ষষ্ঠ ব্যাচের ছাত্র আনোয়ার হোসেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুই শিক্ষককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি লোকমান হোসেন জানান, ‘ভিসি’র অপসারণ দাবিতে বুধবার বেলা ১১টা থেকে তাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। গত তিন দিনে শিক্ষকসহ ১৬ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অন্যদের ক্যাম্পাসে অনশনস্থলেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের শরীরে স্যালাইন পুশ করাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া জানান, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের ৮ দফা দাবির পাশাপাশি ভিসির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। তা ছাড়া আন্দোলনের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে শিক্ষক সমিতির আহ্বানে ৫৬ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা তাদের প্রশাসনিক বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অনশন কর্মসূচি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নেতিবাচক মন্তব্য পোস্ট করায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাঈদ আসাদকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, প্রশাসনিক কারণে তাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেয়ায় প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ থেকে ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ৮ দফা দাবি ও ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকদের একাংশ। সবশেষ গত ২৪ এপ্রিল থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ভিসির অপসারণ দাবিতে আমরণ অনশন করা হচ্ছে।