মাংস পুড়িয়ে খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য রীতিমত দুঃসংবাদ! পোড়া খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে, এমনটাই উঠে এসেছে গবেষণায়। সুতরাং যাদের চিকেন ফ্রাই কিংবা এরকম মুখরোচক খাবারের প্রতি আসক্তি আছে তাদের সাবধান হওয়ার সময় চলে এসেছে। পৃথিবীর সব প্রান্তেই প্রায় খাবার পুড়িয়ে খাওয়ার রেওয়াজ আছে। নানান স্বাদের ও নানান পদের এসব পোড়া খাবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট ক্ষতির কারণ!
১। যখন আপনি খাবারটি পোড়াতে যান তখন এক ধরণের ক্যামিকেল রিঅ্যাকশন ঘটে ফলে অনেক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন হয় সেখানে।
৩। এদের মধ্যে বেশ কিছু উপাদান আছে যেগুলো ভয়াবহ রকম ক্ষতিকর।
৪। দীর্ঘদিন ধরে এরকম পোড়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ক্যান্সারসহ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এফএসএর প্রধান গবেষক পরামর্শক জানিয়েছেন, নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, কড়া করে ভাজা বা পোড়ানো খাবারে বিপজ্জনক অ্যাক্রিলামাইড নামে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থটি দেখা যায়।
একই বিষয় দেখা যাচ্ছে পাউরুটির টোস্টের ক্ষেত্রেও। তাই এটিও হালকা করে ভাজার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এসএসএর প্রধান গবেষক পরামর্শক গাই পপি জানান এসব খাবারে বিপজ্জনক অ্যাক্রিলামাইড রয়েছে, যা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
পোড়া খাবারকে কেন ‘না’?
মাংস পোড়ানোর সময় সবখানেই তেল ব্যাবহার করা হয়। এটা যদি পরিমাণ মতো করা সম্ভব হয় তাহলে ঝুঁকিখানিকটা কম কিন্তু তেল মান খারাপ হলে কিংবা সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করা না গেলে বিভিন্ন রকমের ‘টক্সিক’ ক্যামিকেল’ উৎপন্ন হয়। আর এই টক্সিক আপনার ত্বক, লিভার আর ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। যা ঘাতক ক্যান্সার বাঁধিয়ে ফেলতে পারেন।
এছাড়া এসব খাবার পোড়ানোর সময় পেট্রোল ও ডিজেলের মতো ক্ষতিকর পদার্থ ব্যাবহার করা হচ্ছে। যা খুবই ক্ষতিকর।
সুতরাং মুখ রোচনের জন্য পোড়া মাংস প্রীতি থাকলে কমিয়ে ফেলুন। দীর্ঘদিন বাঁচুন।