খেলার খবর: ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনো বোলার হিসেবে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশিবার (১১টি) ছক্কা খেয়েছেন, বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান দিয়েছেন, নির্দিষ্ট কোনো ব্যাটসম্যানের কাছে ইনিংসে সবচেয়ে বেশি (৭টি) ছয় খেয়েছেন এবং স্পিনার হিসেবে প্রথম ১০০ রান দিয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান।
একম্যাচে এতগুলো বিশ্বরেকর্ড যেকোনো বোলারের কাছেই দুঃস্বপ্নের মতো। সেই দুঃস্বপ্ন যদি বিশ্বের আলোচিত ও ভালো মানের কোনো স্পিনারের সাথে বাস্তব রুপে দেখা যায় তাহলে সেই বোলারের উপর দিয়ে কী যেতে পারে তা সহজেই অনুমিত। তা বোধহয় খুব ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন আফগাস্তিনারের তরকা খেলোয়ার রশিদ খান।
কোথায় এক একটা গুগলি দিয়ে ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করবেন, তা না বরং ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের কাছে যাচ্ছেতাই মার খেয়েছেন তিনি। তাই নিঃসন্দেহে আজকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ টিকে সারাজীবন ভুলে থাকতেই চাইবেন ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম তারকা খেলোয়ার রশিদ খান।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজ ৯ ওভার বল করে ১১০ রান দিয়ে উইকেট শুন্য থেকেছেন তিনি। রশিদ খানের উপর রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান। শুধু রশিদ খানের বলেই বাহাতি এই ব্যাটসম্যান মেরেছেন সাতটি ছয় যা ওয়ানডের ইতিহাসে কোনো বোলারের বিপক্ষে কোনো সবচেয়ে বেশি। আফগানিস্তানের অন্য সব বোলারের বোলিং ইকোনোমি রেট দশের নিচে থাকলেও রশিদ দিয়েছেন ওভার প্রতি ১২.২২ রান!
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে মরগান, বেয়ারস্টো, রুট আর মইন আলীর ঝড়ে ৫০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ৩৯৭ রান যা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোনো দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোরের দিক থেকে ষষ্ঠ। এ ছাড়াও ম্যাচে মোট ২৫টি ছক্কা মারে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। যার ১১টিই রশিদের বলে।
মাত্র তিন রানের জন্য পেস কিংবা স্পিনার মিলিয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি খরুচে বোলারের রেকর্ডটা না হওয়ায় চাইলে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন রশিদ। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার পেসার মাইক লুইস ১০ ওভার বল করে দেন মোট ১১৩ রান। বাকি এক ওভার বল করলে যে কী হতো তা ভাবলে রাতের ঘুমটাও উধাও হয়ে যেতে পারে রশিদ খানের!