শ্যামনগর প্রতিনিধি : জাতীয় বেসরকারী সংস্থা সুশীলন এর মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়িত এবং চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এম তরিকুল ইসলাম।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুশীলনের নির্বাহী প্রধান জনাব মোস্তফা নুরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আ ন ম আবুজর গিফারী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) জনাব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সহকারী পরিচালক সুশীলন শিরিন আক্তার। পরিদর্শনকালীন সময়ে তারা সুশীলনের রিকল ২০২১ প্রকল্পের আওতাধীন সিবিও কার্যক্রম, আইজিএ, ডিস্যালাইনেশন প্লান্ট, হাইজিন কর্নার লেট্রিন, হ্যান্ড ওয়াশ ডিভাইস,স্যানিটেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন।
এছাড়া তিনি বয়স্ক কল্যান প্রকল্পের সুবিধাভোগিদের সাথে আড়পাঙ্গাসিয়া পিএন হাই স্কুলে এক মত বিনিময় সভার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি সুশীলনের বাস্তবায়নাধীন প্রতিটি কাজে সন্তষ্টি প্রকাশ করেন। মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সুশীলন টাইগার পয়েন্টে সুশীলনের বিভিন্ন পর্যায়ে উপকারভোগি, শুভাকাঙ্কি, জন প্রতিনিধিদের সাথে সূশীলন ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মত বিনিময় করেন। মত বিনিময় সভায় সুবিধাভোগিরা তাদের জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তনের গল্প তুলে ধরেন।
সুশীলনের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, মর্যাদা বৃদ্ধি এবং সমাজে তাদের গ্রহণ যোগ্যতার বিষয়টি তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরেন। মহিলারা প্রশিক্ষন এবং বিভিন্ন ইনপুট সহায়তা পেয়ে ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা হয়ে কিভাবে দিন দিন স্বাবলম্ভি হয়ে পরিবারে অবদান রাখছে তা বর্ননা করেন। বয়স্ক কল্যান প্রকল্পের একজন সুবিধাভোগি গানের মাধ্যমে তাদের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।
উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা বিগত ৩০ বছরে এলাকার উন্নয়নে সুশীলন কি ভাবে ভুমিকা রেখেছে তা বিস্তরিত বর্ননা করেন। মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আবুল কাশেম মোড়ল বলেন, ‘‘আমার ইউনিয়নের ১৯টি গ্রামের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সুশীলন কাজ করে নাই। এখানে অনেক সংগঠন কাজ করে কিন্ত সুশীলনের বিকল্প নেই।
বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবু ভবতোষ মন্ডল, সুশীলনের নির্বাহী প্রধানকে উপকূলের বন্ধু হিসাবে আখ্যায়িত করেন। তিনি সুশীলনের কার্যক্রমে ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ অংশগ্রহনের বিষয় তুলে ধরেন। মত বিনিময় সভায় সুশীলনের নির্বাহী প্রধান জনাব মোস্তফা নুরুজ্জামান বিগত ৩০ বছরে সুশীলন উপকূলের আপামর জনগনের জন্য কিভাবে তার স্বপ্ন পূরন করেছে তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন এখনও অনেক কাজ করার বাকি আছে যেগুলি আগামীতে পূরন করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
প্রধান অতিথি জনাব এম তরিকুল ইসলাম, মহাপরিচালক (গ্রেড-১) সুশীলন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং মত বিনিময় সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের অভিজ্ঞতার আলোাকে বলেন,‘‘ সুশীলন তৃনমূল পর্যায়ে দূর্যোগ সহনশীল মানুষের কল্যানে যে কাজ করে যাচ্ছে তাতে আমি অভিভুত। নারীরা যে ভাবে নিজেদেরকে বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত করে নিজেদের আত্মনির্ভরশীল করছে তা সবার জন্য অনুকরনীয়।
তাদের সামাজিক যে ক্ষমতায়ন হচ্ছে, সমাজে গ্রহন যোগ্যতা বাড়ছে তা দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। সুশীলন যে ভাবে মাটি ও মানুষের জন্য ৩০ বছর ধরে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে আমি তার দীর্ঘ সফলতা কামনা করি। আমি আনন্দিত এ ধরণের একটি কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পেরে।
মত বিনিময় শেষে রিকল ২০২১ প্রকল্পের সমবায় অধিদপÍর কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশনকৃত সিবিও প্রতিনিধিদের নিকট সার্টিফিকেট হস্তান্তর ও প্রতিবন্ধী সদস্যদের প্রতিবন্ধী সহায়ক উপকরন বিতরন করেন।