বিদেশের খবর: প্রায় এক বছর ধরে চেষ্টার পর অবশেষে হত্যা করা হল ভারতের মহারাষ্ট্রের বাঘিনী টি১-কে। শুক্রবার রাতে নাগপুরের ইয়াভাতমাল জঙ্গলের ভেতরেই পাঁচ বছর বয়সের এই বাঘিনীকে গুলি করা হয়। মৃত্যুর আগে এটি ১৩ জন মানুষকে হত্যা করেছিল জানিয়েছে স্থানীয়রা। টাইমস অব ইন্ডিয়া, বিবিসি।
জঙ্গলের আশপাশের মানুষ জানান, বাঘিনীর ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকতেন তারা। গেল দুই মাস ধরে টি ১-কে ধরার জন্যে বিশাল আয়োজন করা হয়।উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রায় ২০০ জন বন কর্মী, ৬০টি ক্যামেরা, ড্রোন এবং কুকুর ব্যবহার করা হয়েছিল।
মানুষখেকো এই বাঘিনীকে ধরার জন্যে অনেকগুলো কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অবশেষে সবার চেষ্টা সফল হলো। মৃত বাঘটির মৃতদেহ নাগপুরের গোরেওয়াডা রেসকিউ সেন্টারে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্যে।
মহারাষ্ট্রের বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে হায়দরাবাদের শার্প শ্যুটার ও নবাব শাফাত আলি খানের ছেলে আসগর রাত ১১টার দিকে বাঘিনীকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে নিয়ম মেনে বন দপ্তরের কোনও পশু চিকিৎসক ছিলেন না। বাঘটিকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ধরার চেষ্টাও করা হয়নি। ঘটনার পর কোনও বন কর্মকর্তা টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
অভিযোগ উঠেছে, গত দুমাসের অভিযানে একবারের জন্যেও মানুষখেকো এই বাঘটিকে ধরার কোন চেষ্টা করা হয়নি। বন কর্মকর্তারা ভারতীয় হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানেননি বলেও দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। নিয়ম হলো প্রথমে ঘুম পাড়িয়ে বাঘ ধরার চেষ্টা করা হবে। সেই চেষ্টা সফল না হলে তবে গুলি করে মারার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এসব অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি বন বিভাগ।
১৩ জনকে হজম করার পর প্রাণ গেলো বাঘিনীর
পূর্ববর্তী পোস্ট