অনলাইন ডেস্ক: থমবারের মতো প্রবর্তিত ‘কবি জসিমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার’ পাচ্ছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। বাংলা একাডেমি বাংলা কবিতায় কবি জসিম উদ্দীনের অনন্য অবদান স্মরণে ২০১৯ সাল থেকে এ পুরস্কার চালু করতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১ জানিয়ারি) বাংলা একাডেমির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের যেকোনো শাখায় সার্বিক অবদানের জন্য একজন খ্যাতিমান সাহিত্যিককে এক বছর অন্তর বাংলা একাডেমি এই পুরস্কার প্রদান করবে। পুরস্কারের অর্থমূল্য দুই লাখ টাকা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।
কবি নির্মলেন্দু গুণ ১৯৪৫ সালের ২১ জুন নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণ করেন। এর আগে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশের নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
নির্মলেন্দু গুণের উল্লেখযোগ্য কবিতার বই হচ্ছে ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’, ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’, ‘চাষাভুষার কাব্য’, ‘নিরঞ্জনের পৃথিবী’, ‘দুঃখ করো না’, ‘বাঁচো’, ‘হারানো কবিতা’, ‘শিয়রে বাংলাদেশ’, ‘ইয়াহিয়াকাল’, ‘আমি সময়কে জন্মাতে দেখেছি’, ‘মুঠোফোনের কাব্য’ ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি পল্লীকবি জসীম জসিমউদ্দীনের জন্মদিন। তিনি ১৯০৩ সালের এই দিনে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
‘কবর’, ‘নিমন্ত্রণ’সহ অনেক স্মরণীয় কবিতা, ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’, ‘নকশি কাঁথাস’হ অনেক কালজয়ী কব্যগ্রন্থ রচনা করে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন পল্লীকবি জসিমউদ্দীন।
১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ৭৩ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ওইদিনই ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের পৈত্রিক বাড়িতে ‘ডালিম গাছের’ তলায় তাঁকে দাফন করা হয়।