মেহেদী সোহাগ, কলারোয়া : কলারোয়ার কাকডাঙ্গা সীমান্তের ভাদিয়ালী ১ নং পোস্ট এলাকা থেকে ১০ কেজি রুপা আটক করেছে কাকডাঙ্গা বিওপির বিজিবি সদস্যরা। সোমবার রাত ৩.৩০ মিনিটে সীমান্তের সোনাইনদীর তীরবর্তী ভাদিয়ালী ১ নং পোস্ট এলাকা থেকে কাকডাঙ্গা বিওপির কোম্পানি কমান্ডার আশরাফ এর নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা রুপার চালানটি আটক করে। কাকডাঙ্গা ক্যাম্পে দ্বায়িত্বরত এফ এজ আাতাউর জানান কোম্পানি কমান্ডার আশরাফের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যের একটাদল টহলরত অবস্থায় গোপন সংবাদে রুপার চালানটি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে জানতে পেরে ঘটনাস্হলে উপস্থিত হয়ে চোরাচালানিকে ধাওয়া করলে চোরাচালানি দুটি প্যাকেট ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা প্যাকেট দুটোর ভিতরে দশ কেজি দানা রুপা দেখতে পায় যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে রবিবার সন্ধ্যায় একই সীমান্তের গাড়াখালী ১ নং পোস্টের কুঠিবাড়ী এলাকা থেকে ১২ গার্ড ভারতীয় শাড়ী- কাপড় এবং রাতে ১২ বোতল ভারতীয় ইংলিশ মদ আটক করেছে টহলরত বিজিবি সদস্যরা,যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। বিজিবি কতৃক জব্দকৃত মালামালের সাথে কোন চোরাচালানী আটক হয়নি। কলারোয়ার কাকডাঙ্গা সীমান্তের সাথে ভারতের কলকাতার যোগাযোগ ব্যাবস্হা সহজলোভ্য হওয়ায় স্বর্ন ও রুপা চোরাচালানীর গডফাদারেরা কাকডাঙ্গা সীমান্তের চারাবাড়ী,কেড়াগাছী, কুঠিবাড়ী, গাড়াখালী ও ভাদিয়ালী এলাকাকে নিরাপদ রুট হিসাবে বহুদিন ধরে ব্যাবহার করে আসছে। তাছাড়া স্বর্ণ ও রুপা চোরাচালানীরা স্থানীয় প্রশাসনকে সহজেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সহজেই বড় বড় চালান গুলো সীমান্ত পার করে দিচ্ছে। কিছু কিছু চালান বিজিবি ও স্হানীয় থানা পুলিশ আটক করলেও কোন চোরাচলানী আটক হচ্ছে না। স্বর্ন ও রুপার কোন চালান আটক হলে স্থানীয় কিছু চিন্হৃিত চোরাচালানীর পরিষ্কার নাম হলেও প্রশাসন তাদেরকে আটক করে না।প্রশাসন কিছুদিন তদন্তের নামে চোরাচালানীদের বাড়ি যেয়ে ঘুরে আসে তারপর চোরাচালানীরা কিছুদিন পালাতক থাকে তারপর পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হলে আবারও দাবড়িয়ে বেড়ায়। চোরাচালানী আটক না হওয়াটা শুধু রহস্যই থেকে যায় আর প্রশ্ন বিদ্ধ থাকে চোরাচালানী কেনো আটক হয় না, উত্তর কে দেবে সেটার অপেক্ষায় সচেতন জনতা।,
কলারোয়া কাকডাঙ্গা সীমান্তে বিভিন্ন মালামাল আটক
পূর্ববর্তী পোস্ট